সুন্দরবনের বৃদ্ধ নান্টুর চমকপ্রদ সব গল্প কি জানা আছে আপনার? জেনে নিন..
হাইলাইটস
- 2009 -এর আয়লার পরে নান্টুর সঙ্গে প্রথম দেখা বনকর্মীদের।
- তারপর শুধু বনকর্মীরা নন, ব্যাঘ্র সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত লোকজন, দেশি-বিদেশি পর্যটক কাউকেই হতাশ করেনি নান্টু।
- এই নান্টু আসলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
তবে নান্টু ভয়ঙ্করও। নান্টুর কীর্তি গোসাবা ব্লকের বালি ৯ নম্বর গ্রামের লোকের মুখে মুখে আজও ফেরে। এই গ্রামের অনেক ধীবরই নান্টুর হামলায় মারা গিয়েছেন। বালি ৯ নম্বর গ্রামের বাসিন্দা তথা সুন্দরবন ব্যাঘ্র সংরক্ষণ আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিল মিস্ত্রি বলেন, ‘২০০৯ সালে নান্টুর প্রথম দর্শন পাই নেতিধোপানির জঙ্গলের উল্টো দিকে পিরখালি ৭ নম্বর জঙ্গলে। দীর্ঘ দেহের বাঘটি অত্যন্ত সাহসী। ওর নাকে এবং লেজের দিকে একটা আলাদা দাগও রয়েছে। আমাদের এলাকার মধু মণ্ডল, হরিপদ মণ্ডল, শেখর বিশ্বাস, বিমল বর্মণ, বিষ্ণুপদ মণ্ডলদের মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের সঙ্গী ধীবরদের বিবরণ শুনেই আমরা বুঝতে পারি ওঁরা সকলেই নান্টুর শিকার।’
ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্তারা জানাচ্ছেন, নান্টুকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০২১-এর ডিসেম্বরে। সুন্দরবনের ট্যুর অপারেটরাও একই কথা বলছেন। তারপর থেকে নান্টুকে দেখতে না পাওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমনিতেই নোনা আবহাওয়ার সুন্দরবনের বাঘের গড় আয়ু ১৩ থেকে ১৪ বছর। সেক্ষেত্রে নান্টুর বয়স ১৩-১৪ অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে বলে ধারণা বনকর্তা ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্মীদের। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাকে শেষবার দেখতে পেয়েছিলেন বনকর্মীরা। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অনিল মিস্ত্রি বলেন, ‘গত বছরও বাঘটিকে দেখা গিয়েছিল। নান্টু বেঁচে থাকলে ওর সংরক্ষণ প্রয়োজন। কারণ নান্টুর বিকল্প আর কোনও বাঘ নেই সুন্দরবনে।’ দেশের অন্যান্য জঙ্গলে বাঘ যতটা সহজে শিকার ধরে বেঁচে থাকে, সুন্দরবনে তা ততটাই চ্যালেঞ্জের। নান্টুর বয়স হয়েছে। এই বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখিয়ে যদি বেঁচে থাকে নান্টু, তা রীতিমতো গবেষণার বিষয় বলে মনে করছেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ