West Bengal Local News : বৃদ্ধ মৃত, কাউকে জানাতে পারেননি পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রী – kolkata old man expired paralyzed wife could not tell anyone


নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘ দিন। অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই যে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর, বৃদ্ধা খবর দিতে পারেননি কাউকে।

 

Kolkata
বৃদ্ধ মৃত, কাউকে জানাতে পারেননি পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রী

হাইলাইটস

  • নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘ দিন।
  • অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই যে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর, তা বুঝতে পারলেও তিনিও এতটাই অসুস্থ যে বিছানা থেকে উঠে কাউকে ডাকার ক্ষমতা ছিল না পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীর।
  • সোমবার রাতে বৃদ্ধের মৃত্যু হলেও বৃদ্ধা খবর দিতে পারেননি কাউকে।
এই সময়: নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘ দিন। অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই যে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর, তা বুঝতে পারলেও তিনিও এতটাই অসুস্থ যে বিছানা থেকে উঠে কাউকে ডাকার ক্ষমতা ছিল না পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীর। সোমবার রাতে বৃদ্ধের মৃত্যু হলেও বৃদ্ধা খবর দিতে পারেননি কাউকে। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের ভাইপোরা ডাকাডাকি করেও ঘরের ভিতর থেকে কারও সাড়া না-পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, তাঁদের কাকিমা নির্বাক হয়ে শুয়ে মৃত কাকার পাশেই। বেলাশেষের এমন করুণ পরিণতিতে জোড়াবাগানের মানিক বোস ঘাট স্ট্রিটের বাসিন্দারাও বাকরুব্ধ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবব্রত চৌধুরী (৭৮)। তাঁর স্ত্রী বছর পঁচাত্তরের স্বস্তিকা চৌধুরীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জোড়াবাগানের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, সমালোচিত অনুপম
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকে অনেক বার কাকাকে ডাকাডাকি করেন ভাইপোরা। অন্য দিন কাকাই দরজা খুলে দেন। এ দিন ব্যতিক্রম হওয়ায় ভাইপোরা ভেবেছিলেন, শীতের সকালে হয়তো দেরি করে উঠবেন কাকা। বেলা সাড়ে দশটা বেজে গেলেও ঘরের দরজা খোলেননি বৃদ্ধ। বেলা এগারোটা নাগাদ দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন ভাইপোরা। দেখতে পান কাকা নিথর অবস্থায় শুয়ে, পাশে অসাড় কাকিমা। দু’জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দুধের দাঁত ভেঙে, উপড়ে ফেলা হয় চুল! পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার জোড়াবাগানের শিশু
মৃতের ভাইপোরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাকা এবং কাকিমা নিঃসন্তান ছিলেন। ভাইপোরাই তাঁদের দেখভাল করতেন। দেবব্রতর একটি ছাপাখানা ছিল ধর্মতলা এলাকায়। ২০১৪ নাগাদ সেই দোকানটি তিনি বিক্রি করে দেন। দোকান বিক্রির টাকা ফিক্সড ডিপোজ়িট করে ব্যাঙ্কে রেখে দেন। সেই টাকার সুদেই চলত স্বামী-স্ত্রীর সংসার। দেবব্রতর স্ত্রী দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। তিনি শয্যাশায়ী। তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল। তার পর থেকেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত। অসুস্থ স্ত্রীর পরিচর্যা করতেন দেবব্রতই। প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বড় একটা বেরোতেন না। দেবব্রত নিজেও স্পন্ডিলাইটিস-সহ বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। পরিজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দিন দশেক আগে ঘরের মধ্যেই পড়ে যান বৃদ্ধ। তাঁর কোমর এবং পায়ে চোট লাগে। এর জেরে দেবব্রত নিজেও শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। খুব কষ্ট করে ঘরের মধ্যে খুঁড়িয়ে হাঁটতেন। কী কারণে দেবব্রতর মৃত্যু, তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *