West Bengal Tourism : পর্যটকদের জন্য সুখবর, গণ্ডার দেখতে আর যেতে হবে না আলিপুরদুয়ার! – rhinoceros will be available at patlakhawa forest said by forest minister jyotipriya mallick


গণ্ডারের তৃতীয় আবাস স্থল হতে চলেছে কোচবিহারের পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল। উদ্যোগী বন দফতর।

 

Cooch Behar
কোচবিহারের পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল

হাইলাইটস

  • গণ্ডারের তৃতীয় আবাস স্থল হতে চলেছে কোচবিহারের পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল।
  • পুরনো ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে নতুন করে উদ্যোগী বন দফতর।
  • বুধবার পাতলাখাওয়া বনাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
West Bengal Tourism : গণ্ডারের তৃতীয় আবাসস্থল হতে চলেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল। পুরনো ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে নতুন করে উদ্যোগী বন দফতর। বুধবার পাতলাখাওয়া বনাঞ্চলে (Patlakhawa Forest) গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে করেন রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এর আগে গণ্ডারের (Rhinoceros) খাবারের জন্য তৃণভূমি, কিছু কটেজ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হলেও পরে সেই উদ্যোগ থিতিয়ে যায়। ডুয়ার্সের জলদাপাড়া, গোরুমারার পর কোচবিহার পাতলাখাওয়া বনাঞ্চলে গণ্ডার আনার ব্যাপারে ফের উৎসাহী বন দফতর। বুধবার বনাঞ্চল পরিদর্শন করার পাশাপাশি স্থানীয় বনাঞ্চল কমিটি ও বন দফতরের আধিকারিক ও স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha), কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণ সহ স্থানীয় জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি সদস্যরা। বৈঠকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি দ্রুত কাজ শেষ করে আগামী এক বছর মধ্যে গণ্ডার নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বন দফতর।

Rail Coach Restaurant: ডুয়ার্সে ভ্রমণে নয়া চমক রেলের, চালু হচ্ছে এসি কোচ রেস্টুরেন্ট
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোচবিহার শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল ৭০ হেক্টর জমির উপরে বিস্তৃত। রসমতি ঝিল সেখানকার বড় আকর্ষণ। বনদফতরের নতুন করে উদ্যোগে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে । তবে এই পাতলাখাওয়া বনাঅঞ্চলে বেশ কিছু সমস্যা ছিল। জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সমস্যা ছিল। এই বনাঞ্চলের অধীনে মোট চারটি জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি রয়েছে। যদিও মন্ত্রী জানান, সেই সমস্যা বর্তমানে মিটে গিয়েছে।

Cooch Behar Tea Garden : বকেয়া মজুরি, সকালে চা বাগানে এসে লকআউট নোটিশ দেখে মাথায় বাজ শ্রমিকদের
বন দফতর সূত্রে খবর, দ্রুত এই বনাঞ্চলের কাজ শুরু হবে। গণ্ডারের বাসস্থল হওয়ার ফলে আশেপাশের এলাকায় পর্যটনের সংখ্যা বাড়বে। শুধু গণ্ডার নয় লেপার্ড থেকে শুরু করে হরিণও নিয়ে আসা হবে । তবে বারবার পাতলা খাওয়া বনাঞ্চলে গণ্ডার আবাসস্থল তৈরি উদ্যোগ গ্রহণ হলেও মাঝপথে কাজ আটকে যাচ্ছে। তবে নতুন করে বনদফতরের এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে । তবে এ দিনের বৈঠকে মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও রকম অসুবিধা নয়। স্থানীয় যারা জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন, আধিকারিকরা তারা বরাবর বিষয়টি খোঁজখবর নেবেন। মাঝে কাজ আটকে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে টাকা পাওয়া যায়নি। কাজ শুরু হলে টাকা আসলে সে কাজটিকে দ্রুত সম্পূর্ণ করে এক বছরের মধ্যে গণ্ডার নিয়ে আসা হবে। তার আগে তার পরিবেশ তৈরি করা হবে এখানে।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *