এই প্রসঙ্গে কফি হাউজের অন্যতম উদ্যোক্তা সন্দীপ রায় বলেন, “এই প্রথম কো অপারেটিভের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা এই উদ্যোগ নিলাম। বহু বছর এই ইচ্ছে ছিল। আমাদের ইচ্ছে প্রত্যেকটা জেলায় কফি হাউজ যাতে চালু হয়। এই উদ্যোগ সে লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ।” এদিকে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “কলকাতার কফি হাউজ নিয়ে আমাদের আবেগ চিরন্তন। আমি শ্রীরামপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছি। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে MA করেছি। ফলে আমরা যাঁরা আড্ডা বিষয়টা ভালোবাসি তাঁদের সেই ইচ্ছে উসকে দিচ্ছে এই শাখা। কফি হাউজে গিয়ে কী খেলাম তা বড় কথা নয়। সেখানে আড্ডাটাই প্রধান।” অন্যদিকে, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা কফি হাইসে আড্ডা খেতে যেতাম। সেখান খাওয়া দাওয়াটা বড় কথা নয়, আড্ডাটাই বড়।”
মান্না দের গান থেকে শুরু করে বাঙালি লেখকদের বইয়ের পাতা, বাঙালির আড্ডা চেতন মনে বড় জায়গাজুড়ে রয়েছে কফি হাউজ। কিন্তু, সেই ঐতিহ্য চাক্ষুস করতে আসতে হত কলেজ স্ট্রিটে। কিন্তু, এবার জেলা ভিত্তিতে কফি হাউজ খোলা হলে বাঙালির ‘আড্ডা সংস্কৃতি’ আরও বেশি লালিত-পালিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, উদ্বোধনের আগে থেকেই শ্রীরামপুর কফি হাউজ নিয়ে রীতিমতো উৎসাহ নেটপাড়ায়।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।