এরপরেই খবর দেওয়া হয় কাশীপুর থানার পুলিশকে (Kashipur Police Station)। ঘটনাস্থলে আসে তারা। পুলিশ পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করত বোম্ব স্কোয়ার্ডকেও খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শুধু বোমা নয়। বোমা তৈরির সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে সোমনাথ কলোনি মোড় এলাকার জমিটি থেকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বোমাগুলি জমিতেই পড়ে রয়েছে। তবে, এতগুলি বোমা কীভাবে এখানো এলো, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বোমাগুলি এখানে বাঁধা হচ্ছিল, না রেখে দেওয়া হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছে কাশীপুর থানা (Kashipur Police Station)।
নিজের জমি থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কের ছাপ সুধাংশু সরদারের চোখে মুখে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। বাইরের কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন।
কয়েকদিন আগে ভাঙড় (Bhangar) এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। নাটাপুকুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল। বিশেষ সূত্রে্ খবর পেয়ে নজরুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ওই বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছিল বোমা তৈরির সামগ্রীও। গত ১০ ডিসেম্বর ভাঙড়ের (Bhangar) আলাকুলিয়ার ভোগালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাশীপুর থানার পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাপা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। অশান্তি সৃষ্টির জন্যই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাঙড়ে বোমা–বন্দুকের জড়ো করা হচ্ছে বলে অনুমান। কয়েকদিন আগে টিটাগড়, ভাটপাড়া–সহ নানা জায়গায় বোমা উদ্ধার হয়েছে। আবার বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয়েছে কিশোররা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় এখন নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।