বিনা হেলমেটে বাইক চালিয়ে খড়গপুর শহরে ভ্রমণ করে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। হেলমেট ছাড়া ঘুরলেন তাঁর অনুগামীরাও।
হাইলাইটস
- রাজনীতির ময়দানে তিনি বরাবরই ‘ঠোঁটকাটা’ বলে পরিচিত।
- বিনা হেলমেটে বাইক চালিয়ে খড়গপুর শহরে ভ্রমণ করে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ।
- দুই হাতে বুলেট বাইকের স্টিয়ারিং, ঠান্ডা আটকাতে কান পট্টি, অথচ মাথা হেলমেটহীন।
বাইক থামিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁর পাল্টা উত্তর, “শহরের মধ্যে হেলমেট কে পরে? হেলমেট লাগে না। যখন বাইরে যাই, জোরে গাড়ি চালাই, তখন হেলমেট লাগে।” এ নিয়ে বিজেপি সাংসদকে বিঁধতে ছাড়েনি শাসক দল তৃণমূলও (TMC)। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি (Ajit Maity) বলেন, “প্রচারমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার জন্য করছেন উনি। উনার বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা করা উচিৎ।” তবে শীতের সকালে কড়া-মিঠে রোডের মাঝে দু’চাকায় শহর ঘুরতে পেরে এদিন বেশ চনমনেই দেখায় বিজেপি সাংসদকে। দিলীপ বলেন, “শীতের দিন বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজকে একটু ঘোরাঘুরি হয়ে গেল। শহরের মধ্যে কিছু লোকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল” উল্লেখ্য, সারা বছরই ভোরবেলা সকালে উঠে প্রাতঃ ভ্রমণের অভ্যাস রয়েছে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। কলকাতায় থাকলে প্রতিদিনই তিনি ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে যান।
কলকাতার বাইরে খড়্গপুরে থাকলেও তাঁকে শহরে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা যায়। অংশ নেন বিভিন্ন চা চক্রেও। এদিন সকালেও তিনি চা চক্রে যোগদান করেছিলেন। এরপরেই কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে তিনি বাইকে চড়ে খড়গপুর শহর ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। বাইক চড়ার অভ্যাস তাঁর কম বয়সে ছিল বলেই জানান দিলীপ। মজার চলে তাঁর জবাব, “বাইক আগে চালাতাম। এখন মাঝেমধ্যে চালাই। ব্যালেন্স ঠিক আছে কিনা সেটা দেখেনি।” যদিও হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো ট্রাফিক আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে এদিন তিনি হেলমেট ছাড়া বাইক চালালেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি? প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে শহরবাসীর মুখে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ