লকেট ইউজিসির সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও খানিক ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের গলায়। বুধবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়ায় আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সেখানে জাতীয় শিক্ষানীতির কমিটিতে বাংলাকে ব্রাত্য রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতে মোট ১৩ টি প্রদেশ রয়েছে। কিন্তু, কমিটি সাতজনের। সেই কারণে প্রত্যেক বছরই কিছু প্রদেশ কমিটি থেকে বাদ পড়বে। এটা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জাতীয় শিক্ষা নীতির সম্পর্কে জনগণ, শিক্ষক, ছাত্রদের সচেতন করতেই এই কমিটি। সব রাজ্যেই সমানভাবে কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই সব না করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির প্রতি নজর দেওয়া উচিত।”
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জাতীয় শিক্ষা নীতির বাস্তবায়ন ও সচেতনা বৃদ্ধিতে একটি কমিটি তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ইস্টার্ন জোনের কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই, এই অভিযোগ তুলে বুধবার একটি টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী। “গোটা দেশে পাঁচটি জ়োনাল কমিটি তৈরি করেছে ইউজিসি। কেন্দ্র, রাজ্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের সেই কমিটিতে জায়াগা দেওয়া হলেও উত্তর পূর্ব ও পূর্ব জোনের কমিটিতে বাংলার ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনও প্রতিনিধি নেই। এদিকে অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিসের সভাপতি বাংলার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।” এই সিদ্ধান্তকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছে শিক্ষামন্ত্রী। উল্লেখ্য, অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিসের সভাপতি পদে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবর পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন… হুগলি জেলার খবর পাবেন এই লিঙ্কে। প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল।