এদিকে, বাসের ধাক্কার আওয়াজ শুনে বাগদিয়া বাজারের মানুষজন ছুটে আসেন। এসে দেখেন, বাসের ধাক্কায় এলাকারই বাসিন্দা রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে রয়েছেন। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। স্থানীয় বাসিন্দারের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অবিবাহিত ছিলেন যাদব। একটি দোকানের কর্মী ছিল সে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার খবর পেয়েছে ছুটে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ (Santipur Police Station)। মৃতদের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট (Ranagat) মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর চম্পট দেয় ঘাতক বাসটি। জাতীয় সড়কে CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাসটি খোঁজ চালাচ্ছে শান্তিপুর থানা (Santipur Police Station)।
পুলিশ প্রশাসন সূ্ত্রে খবর, গত কয়েকদিনে রাজ্যে ও জাতীয় সড়কগুলিতে বেড়েছে পথদুর্ঘটনা। কয়েকদিন আগে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা ঘটে কেশপুর-মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে। মারুতি ও যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন মারুতির ২ আরোহী। কেশপুর থানা এলাকার পঞ্চমীর ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনায় রাজ্য সড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে, পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, ঘাতক বাসটি কলকাতা (Kolkata) থেকে কেশপুরের দিকে আসছিল। মারুতিটি যাচ্ছিল কলকাতার দিকে। দু’টো গাড়িই যথেষ্ট গতিতে যাচ্ছিল বলে তাঁরা জানান। পঞ্চমীর কাছাকাছি আসতেই মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে আশপাশের মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। মারুতিটি দুমরে-মুচরে যায়।
এর আগেও ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। বার বার এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালের দাবি করা হলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ট্রাফিক না থাকায় স্থানীয়দের প্রাণ হাতে করে রাস্তাঘাট পার হতে হয় বলে দাবি করা হয়। কেশপুরের পঞ্চমীর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে, এবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। পথদুর্ঘটনা রুখতে জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলিতে আরও বেশি করে পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।