জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীবনের লড়াইয়ে অবশেষে হেরেই গেলেন এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো পেলে (Pele)। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘ফুটবল সম্রাট’। ৮২ বছর বয়সে জীবনাবসান ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর দিয়েগো মারাদোনা (Diego Maradona) প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর দু’বছর পর ফের অভিভাবকহীন ফুটবল। ফুটবল রয়ে গেল। সর্বকালের দুই সেরা আজ আকাশের তারা। তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার যে আর মাত্র কয়েক’টি দিনের অতিথি তা কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল। ফুটবলবিশ্ব প্রস্তুত ছিল এই দুঃসংবাদের জন্য।
A inspiração e o amor marcaram a jornada de Rei Pelé, que faleceu no dia de hoje.
Amor, amor e amor, para sempre.
.
Inspiration and love marked the journey of King Pelé, who peacefully passed away today.Love, love and love, forever. pic.twitter.com/CP9syIdL3i
— Pelé (@Pele) December 29, 2022
বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। বাড়িতে কম হাসপাতালে বেশি সময় কাটাতে হয়েছে তাঁকে। সদ্যসমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপ চলার সময় পেলের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। সেইজন্য সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এমনকী বড়দিনে পুরো পরিবার চলে এসেছিল পেলেকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।
চিকিৎসকরা এককথায় সময় দিয়েই দিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন যে, পেলের ক্যানসার আরও ছড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি কিডনি এবং হৃদযন্ত্রেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে শেষপর্যন্ত আর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে পারলেন না পেলে। এক যুগের সমাপ্তি ঘটল পেলের প্রয়াণের সঙ্গে।
আর এই পেলেকেই কিন্তু ফুটবলপাগল শহর কলকাতা একবার নয় দু’বার ভালোবাসায় মুড়ে দিয়েছিল। ১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইডেন গার্ডেন্স দেখেছে পেলের পায়ের জাদু। মোহনবাগানের হয়ে তিনি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিলেন কসমস ক্লাবের হয়ে। যদিও তখন পেলে একেবারে কেরিয়ারের সায়াহ্নে ছিলেন। সেবার কসমস ক্লাব এশিয়া সফর করেছিল। কলকাতায় ছিল ম্যাচ। যদিও বৃষ্টি ভেজা কাদা মাখা মাঠে মাত্র ৩০ মিনিট খেলেছিলেন পেলে। ম্যাচ ২-২ শেষ হয়েছিল সেদিন। মাঠ থেকে শুরু করে হোটেল, পেলেকে দেখার জন্য জনসুনামি নেমেছিল তিলোত্তমায়। ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বার কলকাতায় ফের এসেছিলেন পেলে।