কিন্তু কীভাবে এত কমদামে আলু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে? জানা গিয়েছে, হিমঘরে আলু রাখতে বস্তা প্রতি ৯০ থেকে ৯২.৫০টাকা ভাড়া দিতে হয়। আলু রাখার পরও কৃষকরা সেখান থেকে আর বস্তা আনতে যাচ্ছেন না। লরিতে চাপিয়ে সেই বস্তা বিকোচ্ছে একশো টাকায়। এই প্রসঙ্গে আলু ব্যবসায়ী পলাশ ঘোষ বলেন, “বাংলাতে উৎপাদিত আলুর এই অবস্থা হওয়ার কথা ছিল না। রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী আলু হিমঘরে মজুত ছিল না। উত্তরপ্রদেশ থেকে কম দামের হুহু করে আলু বাংলায় ঢোকায় এখানকার দামে ধস নেমেছে।”
বিগত বছর রাজ্যের পাঁচ জেলায় আলুর ফলনে চরম ঘাটতি ছিল। মুর্শিদাবাদের আটটি হিমঘরে ৭১ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুত রাখার ক্ষমতা রয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন তিন বছর আগের মতো এবার ৫০ কেজি আলুর বস্তা ১৮০০ টাকা বিক্রি হবে। কিন্তু, তাদের সব অঙ্ক জলে গিয়েছে। ডাকবাংলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিশার আহম্মেদ বলেন, “ব্যবসায়ীদের সব অঙ্কে জল ঢেলে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাব। অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ডেও বাংলার আলু রফতানি কম হওয়ায় এবার আলু ব্যবসায়ীরা কার্যত পুঁজি হারিয়ে ফেলেছেন।”
আলু ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখোমুখি হলেও কম দামে আলু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। ছয়ঘরির বাসিন্দা ইমরান হক বলেন, “এক আঁটি কাঁঠাল পাতার দাম ১০ থকে ১৫ টাকা। সস্তার আলু কিছু আমরা খাব। কিছু গোরু ছাগলকে খাওয়াব। গোল আলুর এমনই বেহাল দশা যে বিক্রি না হওয়ায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।