নবান্ন সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে ৪০ শতাংশেরও বেশি নাম বাদ পড়েছে সমীক্ষা করতে গিয়ে। মালদায় এই সংখ্যাটা ৩০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদে সংখ্যাটা ১০ শতাংশের বেশি। নবান্নর (Nabanna) এক শীর্ষ কর্তা জানান, যোগ্যরা যাতে তালিকায় ঠাঁই পায়, সেজন্য স্বচ্ছতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্বরাজ পোর্টালে আপলোড করার সময়ে উপভোক্তার আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জব কার্ড আপলোড করতে হবে। কারণ, বরাদ্দ টাকা আধার ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে হবে।
এদিকে, তালিকা তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন পেলেই যাতে আবাসের কাজ শুরু হয়, সেজন্য জেলাশাসকদের কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৫ দফা রূপরেখা তৈরি করে দিল নবান্ন। বলা হয়েছে, ৯০ দিন অর্থাৎ ৩১ মার্চের মধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতেই হবে। এর জন্য তিন দফায় অর্থ দেওয়া হবে। প্রতি মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখ আবাস সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে এই নির্মাণের তদারকি করাতে হবে প্রশাসনিক স্তরে। অনুমোদন দিয়ে হাতে টাকা তুলে দিলেই হবে না। যাতে সময় মতো নির্মাণ হয়, প্রশাসনকে সেদিকেও বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। এজন্য উপভোক্তাদের কাঁচা মাল কিনতে অথবা বাড়ির নকশা নিয়ে সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধি, ব্লক,মহকুমা ও জেলাশাসককে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখতে হবে। আধিকারিকদের নিয়মিত সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে নির্মাণ কাজ। জেলার সিনিয়র অফিসারদের অ্যাপ তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময়ে রিপোর্ট দেবেন।
এতদিন শুধু আবাস যোজনার বাড়ির জিও ট্যাগিং হতো। এবার নজরদারির কাজেও চালু হবে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা। বাড়ি তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য ইটভাটা, দোকানের সঙ্গে উপভোক্তাদের যোগযোগ করিয়ে দিতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লককে, যাতে দাম কিছুটা কমে। রাজমিস্ত্রিদের আবাস যোজনার বাড়ি নির্মাণে প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কাজের অগ্রগতি দেখতে ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে। ভূমিহীন উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য জমির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিতে হবে বিএলআরওদের। প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয়ের সুযোগ থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্য স্বচ্ছ ভারত মিশনের অর্থ কাজে লাগাতে হবে। ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকায় এটি করতে হবে। প্রতি দফায় টাকা বরাদ্দ করার সময়,খরচ ও নির্মাণের সর্বশেষ অবস্থা জিও ট্যাগিং করতে হবে।