Pradhan Mantri Awas Yojana : আবাস তালিকার ৮৪% ভরতে হবে বাইশের বাকি ৩ দিনে – pradhan mantri awas yojana final list of beneficiaries should be approved within 31 december


এই সময়: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে অনুমোদন দেওয়ার কাজ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। ওই সময়ের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের স্থির করে দেওয়া ‘কোটা’ ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ জনের নাম চূড়ান্ত করতে হবে। এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে মাত্র ১ লক্ষ ৮৪ হাজার উপভোক্তার নাম চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট তালিকার মাত্র ১৬ শতাংশ। উপভোক্তাদের বাকি ৮৪ শতাংশের তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ আগামী তিন দিনের মধ্যেই শেষ করতেই হবে। না হলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের এই কোটার অবশিষ্ট অংশ চলে যাবে অন্য রাজ্যে। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi) পঞ্চায়েত ও জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে তালিকা তৈরির কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। জেলাশাসকরা মুখ্যসচিবকে আশ্বস্ত করেছেন, উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে। সময়ের মধ্যেই তা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের স্বরাজ পোর্টালে আপলোড করা হবে। যদিও আবাসন প্লাস তথ্যভাণ্ডার থেকে উপভোক্তাদের নাম ঝাড়াই বাছাই করতে গিয়ে একাধিক জেলায় প্রচুর সময় লেগেছে। তাই কাজের গতি কিছুটা হলেও মন্থর হয়েছে। এর পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রে জব কার্ড নিয়ে সমস্যা হওয়ায় শেষ মুহূর্তে নাম বাদ পড়েছে।

Pradhan Mantri Housing Scheme : আবাসের কাজে দেরি হলেই জরিমানা
নবান্ন সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে ৪০ শতাংশেরও বেশি নাম বাদ পড়েছে সমীক্ষা করতে গিয়ে। মালদায় এই সংখ্যাটা ৩০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদে সংখ্যাটা ১০ শতাংশের বেশি। নবান্নর (Nabanna) এক শীর্ষ কর্তা জানান, যোগ্যরা যাতে তালিকায় ঠাঁই পায়, সেজন্য স্বচ্ছতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্বরাজ পোর্টালে আপলোড করার সময়ে উপভোক্তার আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জব কার্ড আপলোড করতে হবে। কারণ, বরাদ্দ টাকা আধার ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে হবে।

Pradhan Mantri Awas Yojana : আবাস যোজনা নিয়ে কড়া নবান্ন
এদিকে, তালিকা তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন পেলেই যাতে আবাসের কাজ শুরু হয়, সেজন্য জেলাশাসকদের কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৫ দফা রূপরেখা তৈরি করে দিল নবান্ন। বলা হয়েছে, ৯০ দিন অর্থাৎ ৩১ মার্চের মধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতেই হবে। এর জন্য তিন দফায় অর্থ দেওয়া হবে। প্রতি মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখ আবাস সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে এই নির্মাণের তদারকি করাতে হবে প্রশাসনিক স্তরে। অনুমোদন দিয়ে হাতে টাকা তুলে দিলেই হবে না। যাতে সময় মতো নির্মাণ হয়, প্রশাসনকে সেদিকেও বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। এজন্য উপভোক্তাদের কাঁচা মাল কিনতে অথবা বাড়ির নকশা নিয়ে সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধি, ব্লক,মহকুমা ও জেলাশাসককে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখতে হবে। আধিকারিকদের নিয়মিত সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে নির্মাণ কাজ। জেলার সিনিয়র অফিসারদের অ্যাপ তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময়ে রিপোর্ট দেবেন।

Pradhan Mantri Awas Yojana : আবাসের বিতর্ক গড়াল গণইস্তফায়
এতদিন শুধু আবাস যোজনার বাড়ির জিও ট্যাগিং হতো। এবার নজরদারির কাজেও চালু হবে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা। বাড়ি তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য ইটভাটা, দোকানের সঙ্গে উপভোক্তাদের যোগযোগ করিয়ে দিতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লককে, যাতে দাম কিছুটা কমে। রাজমিস্ত্রিদের আবাস যোজনার বাড়ি নির্মাণে প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কাজের অগ্রগতি দেখতে ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে। ভূমিহীন উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য জমির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিতে হবে বিএলআরওদের। প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয়ের সুযোগ থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্য স্বচ্ছ ভারত মিশনের অর্থ কাজে লাগাতে হবে। ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকায় এটি করতে হবে। প্রতি দফায় টাকা বরাদ্দ করার সময়,খরচ ও নির্মাণের সর্বশেষ অবস্থা জিও ট্যাগিং করতে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *