অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, একসঙ্গে ৯৬ জন পুরনো কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী ও হাউস কিপিং স্টাফ। কোভিডের সময় থেকে কাজ করে আসছেন তাঁরা। আচমকা এই নির্দেশিকা আসায় বিপাকে পড়েছেন এই অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই কাজের উপরে নির্ভর করেই চলছে প্রত্যেকের সংসার, এখন চাকরি চলে গেলে তাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই নতুন এজেন্সি দায়িত্বভার নেওয়ার ফলেই তাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে। তাদের জায়গায় নতুন করে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবীতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এমনকী স্থায়ী পদেও নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ কৌশিক সমাজদার বলেন, “ওই ৯৬ জন অস্থায়ী কর্মী ঠিকাএজেন্সির অধীনে কাজ করছেন। এখানে স্বাস্থ্য দফতর বা মেডিক্যাল কলেজের কোনও ভূমিকা নেই। বরং এদের কাজ চলে যাওয়া অনুচিত৷ অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন। বিষয়টি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিকে জানানো হয়েছে।”
হাসপাতালে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী প্রেমকুমার পাশওয়ান বলেন, “আমার দীর্ঘ তিন বছর ধরে এখানে কাজ করছি। কোভিডের সময়ও আমরা কাজ করেছি। কিন্তু, হঠাৎ করে আমাদের বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে আমাদের আর চাকরি থাকবে না। আমার যে সংস্থার হয়ে কাজ করি, সেই সংস্থাও আমাদের কথা শুনছে। আমরা সব মিলিয়ে ৯৬ জন রয়েছি। আমাদের চাকরি চলে গেলে সংসার কীভাবে চলবে। আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলন চলবে।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবর পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন… উত্তর দিনাজপুর জেলার খবর পাবেন এই লিঙ্কে। প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল।