Raiganj Medical College : রাতারাতি ছাঁটাই ৯৬ কর্মী, রায়গঞ্জ হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ – contractual workers agitation in raiganj medical college and government hospital


West Bengal Local News: এজেন্সির অধীনে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক ব্লক। অধ্যক্ষকে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকনে অস্থায়ী কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জের সরকারি হাসাপাতালের (Raiganj Government Medical College and Hospital) অ্যাকাডেমিক ব্লক চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের ফলে পুরনো কর্মীদের আর চাকরি থাকবে, এই খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রায়গঞ্জের আব্দুলঘাটায় অবস্থিত মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক ব্লক পুরনোর কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। অধ্যক্ষের ঘরে তালা বন্ধ করে চলে আন্দোলন।

Sukanta Majumdar : ‘BDO রা হলেন বেচারা’, আবাস যোজনা বিতর্কে নজিরবিহীন আক্রমণ সুকান্তর
অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, একসঙ্গে ৯৬ জন পুরনো কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী ও হাউস কিপিং স্টাফ। কোভিডের সময় থেকে কাজ করে আসছেন তাঁরা। আচমকা এই নির্দেশিকা আসায় বিপাকে পড়েছেন এই অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই কাজের উপরে নির্ভর করেই চলছে প্রত্যেকের সংসার, এখন চাকরি চলে গেলে তাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই নতুন এজেন্সি দায়িত্বভার নেওয়ার ফলেই তাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে। তাদের জায়গায় নতুন করে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবীতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এমনকী স্থায়ী পদেও নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ।

Raiganj News : কুকুরের তাড়া খেয়ে নারকেল গাছের মগডালে বিড়াল ছানা, দমকলের সাহায্যে উদ্ধার
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ কৌশিক সমাজদার বলেন, “ওই ৯৬ জন অস্থায়ী কর্মী ঠিকাএজেন্সির অধীনে কাজ করছেন। এখানে স্বাস্থ্য দফতর বা মেডিক্যাল কলেজের কোনও ভূমিকা নেই। বরং এদের কাজ চলে যাওয়া অনুচিত৷ অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন। বিষয়টি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিকে জানানো হয়েছে।”

Raiganj University : ‘চপশিল্প’ গবেষণার ‘নেপথ্য নায়ক’, অধ্যাপক তাপস পালকে বহিষ্কার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের
হাসপাতালে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী প্রেমকুমার পাশওয়ান বলেন, “আমার দীর্ঘ তিন বছর ধরে এখানে কাজ করছি। কোভিডের সময়ও আমরা কাজ করেছি। কিন্তু, হঠাৎ করে আমাদের বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে আমাদের আর চাকরি থাকবে না। আমার যে সংস্থার হয়ে কাজ করি, সেই সংস্থাও আমাদের কথা শুনছে। আমরা সব মিলিয়ে ৯৬ জন রয়েছি। আমাদের চাকরি চলে গেলে সংসার কীভাবে চলবে। আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলন চলবে।”

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবর পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন… উত্তর দিনাজপুর জেলার খবর পাবেন এই লিঙ্কে। প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *