SSC Scam In West Bengal : শূন্যপদের বাইরে ১২৭১ শিক্ষাকর্মী! – calcutta high court informed in 2016 1271 people got appointment letters for group d posts without sufficient vacancies in schools


২০১৬ সালে স্কুলে-স্কুলে পর্যাপ্ত শূন্যপদ ছাড়াই গ্রুপ-ডি পদে ১২৭১ জন নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন বলে হাইকোর্টে রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

 

WB Recruitment Scam
এসএসসি দুর্নীতি

হাইলাইটস

  • 2016 সালে স্কুলে-স্কুলে পর্যাপ্ত শূন্যপদ ছাড়াই গ্রুপ-ডি পদে 1271 জন নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন বলে হাইকোর্টে রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
  • ফলে ওই 1271 জন শিক্ষাকর্মীর চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রবল সংশয়।
  • প্রশ্ন উঠেছে, শূন্যপদের বাইরে 1271 জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি কী ভাবে হয়েছিল!
এই সময়: ২০১৬ সালে স্কুলে-স্কুলে পর্যাপ্ত শূন্যপদ ছাড়াই গ্রুপ-ডি (Group-D) পদে ১২৭১ জন নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন বলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সিবিআইয়ের (CBI) পেশ করা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ফলে ওই ১২৭১ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রবল সংশয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) বিভিন্ন আঞ্চলিক কমিটির কাছ থেকে প্রাপ্ত শূন্যপদের নিরিখে শিক্ষাকর্মীর ৩২১৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশের পর এসএসসিই কেন্দ্রীয় ভাবে ৪৪৮৭ জনকে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির সুপারিশপত্র পাঠায়। এর মধ্যে ৩৮৮০ জনকে চাকরির সুপারিশ পাঠানো হয়েছিলো প্যানেলের মেয়াদ থাকাকালীন সময়ের মধ্যে। বাকি ৬০৭ জনকে আবার সুপারিশপত্র পাঠানো হয় প্যানেলের মেয়াদ ফুরোনোর পরে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, শূন্যপদের বাইরে ১২৭১ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি কী ভাবে হয়েছিল! যদিও এসএসসির দাবি, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।

WB Recruitment Scam : নিয়োগ বিতর্ক: ১৬৯৪ জনকে নোটিস
সুপার-নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে বিতর্কে সরকারি কৌঁসুলিদের সওয়াল ছিল, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র রাজ্য মন্ত্রিসভার। সেই সিদ্ধান্ত ছাড়াই কী ভাবে ১২৭১ জনকে স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল–তা নিয়ে মস্ত ধন্দ দেখা দিয়েছে। এসএসসির চাকরির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শূন্যপদ (সুপার নিউমেরারি) প্রযোজ্য কিনা, তা-ও এখন আদালতের দু’টি বেঞ্চে বিচারাধীন। কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের জন্যে এসএসসি কাউন্সেলিং করে সুপারিশপত্র দিতে শুরু করলেও হাইকোর্টেরই স্থগিতাদেশে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগপত্র ইস্যু করতে পারেনি। রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদিত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার সেই সুপার নিউমেরারি প্যানেলের বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে পরশু, ৩১ ডিসেম্বরে।

SSC Scam : ‘মিডলম্যান’ শিক্ষকরাও? CBI স্ক্যানারে ৯ নাম
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সিবিআই এবং বিচারপতি বাগ কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এসএসসির নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে মোট ৩৯২৫ জনের চাকরি বস্তুত বাতিলের মুখে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালত নির্দেশ দিলেই এঁদের ওএমআর শিট জনসমক্ষে আনা হবে। কারণ, প্রকৃত ওএমআরে শূন্য বা এক থেকে নম্বরের ব্যাপক হেরাফেরি ঘটিয়ে চাকরি হয়েছে এঁদের। ইতিমধ্যে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে গ্রুপ-ডি পদে কর্মরত ১৬৯৪ জনকে স্কুল শিক্ষা কমিশনার অবগত করেছেন যে হাইকোর্টে দায়ের মামলার উপরেই নির্ভর করছে তাঁদের চাকরির ভবিষ্যত। তবে আরও পাঁচ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরির ভবিষ্যতও অনিশ্চিত। এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হবে। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারির তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে বিচারপতি বসু এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দুই বেঞ্চে শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তার মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী পদে আরও ৬৫১ জনের চাকরি বাতিলও প্রায় নিশ্চিত। এই ৬৫১ জন চাকরি পেয়েছেন একেবারে নিয়োগের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। এঁদের কেউ নিয়োগ তালিকাতেই ছিলেন না। এমনকী ওয়েটিং লিস্টেও নয়!

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *