Bidhannagar Air Pollution : বাড়ছে দূষণ, বিধাননগরে গুচ্ছ প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের – bidhannagar air pollution is increasing experts gave proposals to reduce


বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় এক বছরের ফারাকে দূষণের মাত্রা বাড়ায় চিন্তিত বিধানননগর পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের কর্তারা।

 

Bidhannagar Air Pollution
বাড়ছে দূষণ, বিধাননগরে গুচ্ছ প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের

হাইলাইটস

  • বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় গত বছর শীতে বাতাসের গড় দূষণ-সূচক 250 ‘র মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
  • সেখানে এ বার ওই সূচক পৌঁছে যাচ্ছে 280-320 পর্যন্ত।
  • এক বছরের ফারাকে দূষণের মাত্রা বাড়ায় চিন্তিত বিধানননগর পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের কর্তারাও।
এই সময়:বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় গত বছর শীতে বাতাসের গড় দূষণ-সূচক ২৫০’র মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সেখানে এ বার ওই সূচক পৌঁছে যাচ্ছে ২৮০-৩২০ পর্যন্ত। এক বছরের ফারাকে দূষণের মাত্রা বাড়ায় চিন্তিত বিধানননগর পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের কর্তারাও। কেননা, দূষণ-সূচক ১৫০ অতিক্রম করলেই তা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী করণীয়, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছেন পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি। মেয়র পারিষদদের বৈঠকে সেই সব পরামর্শ বাস্তবায়িত করার বিষয়ে কথা বলবেন রহিমা। তিনি বলেন, ‘গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং লাগাতার নির্মাণের কারণেই গত এক বছরে দূষণের মাত্রা খানিকটা বেড়েছে। সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু প্রস্তাব বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন। মেয়র পারিষদদের বৈঠকে সবার সঙ্গে আলোচনা করে তা কার্যকরী করা হবে।’

Cyber Crime : চাকরির টোপ দিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা, বিধাননগর পুলিশের জালে ১৪
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব, কোথায় কোথায় দূষণ বেশি–তা খুঁজে বের করা সর্বাগ্রে জরুরি। তা হলে ওই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে দূষণ মোকাবিলায় পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। যত্রতত্র জিনিস পোড়ানো, রাস্তার ধারে উনুনে রান্না বন্ধ এবং শীতকালে নিয়মিত রাস্তায় জল স্প্রে করার প্রস্তাবও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নির্মাণের কারণে দূষণ ঠেকাতে চারপাশ ঢেকে নির্মাণকাজ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ নিয়ম না মানেন, সে ক্ষেত্রে জরিমানা আদায়েরও প্রস্তাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে গাড়ির দূষণ ঠেকাতে ট্র্যাফিক সিগন্যালে গাড়ি আটকে থাকার সময়ে যাতে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখেন চালকরা–সেই ব্যবস্থা কার্যকরী করলে দূষণে অনেকটাই রাশ টানা যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘শুধুমাত্র গাছ লাগিয়ে বায়ুদূষণের মোকাবিলা সম্ভব নয়। শহরে দূষণের বড় কারণ গাড়ির ধোঁয়া। তাই ব্যাটারি বা সিএনজি চালিত গাড়ি বাড়ানোও ভীষণ জরুরি।’

Bidhannagar : খন্দ-পথে ভোগান্তি আর কমছেই না বিধাননগরে
রাজ্যের বাকি পুরসভার তুলনায় বিধাননগর পুরনিগমের আওতায় সল্টলেকে গাছের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি। কিন্তু রাজারহাট-গোপালপুরের আওতাধীন যে এলাকাগুলি বিধাননগর পুরনিগমে ঢুকেছে, সেখানে গাছের সংখ্যা কম। আবার মাটির কারণে সল্টলেকের অনেক গাছই ক্ষতিগ্রস্ত। এমন ক্ষতিগ্রস্ত গাছের সংখ্যা কত, কোথায় গাছ লাগানোর সুযোগ রয়েছে–তা জানতে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সল্টলেকে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ শতাধিক। যেগুলি যে কোনও সময়ে ভেঙেও পড়তে পারে। ওই সব গাছ বাঁচাতে বেশ কিছু পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘দূষণ মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি জরুরি গাছ। কোথায় কোথায় গাছ লাগানোর জায়গা রয়েছে, তা সমীক্ষক দলের সদস্যরা আমাদের কয়েক দিনের মধ্যেই জানাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত গাছগুলিও যাতে বাঁচিয়ে রাখা যায়–সেই পদক্ষেপ করা হবে।’

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *