বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছিল টানটান উত্তেজনা। ১২ আসনের জন্য মোট ভোটার ছিলেন ৭১০ জন। বাম ও BJP-র প্রার্থীরা এই নির্বাচনে মহাজোট গড়ে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন। রীতিমতো পোস্টার ছাপিয়ে মহাজোটের পক্ষে প্রচারও করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশ হতেই, মুখ থুবড়ে পড়ে বিরোধীদের জোট। সমবায়ের ১২টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই জয়লাভ করে রাজ্যের শাসক দল। প্রসঙ্গত, ১২টি আসনের মধ্যে আগেই দু’টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। ফলে ভোট গ্রহণ করা হয় ১০টি আসনের জন্য। রাজ্যের শাসক দল শুধু জেতেই নি, বড় ব্যবধানে জয়ী হয় তারা। কোনও কোনও আসনে ভোটের ব্যবধান ছিল দেড়শোর বেশি।
বিকেলে জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবুজ আবির মেখে আনন্দে মেতে ওঠেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়া (Haldia) ব্লকের বাঁশখানা এলাকার তিনটি বুথের মধ্যে দু’টিতে BJP এগিয়েছিল। ফলে এবার পঞ্চায়েতে নির্বাচনের (Panchayat Elections) আগে সমবায়ে জেতা তৃণমূলের কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সুব্রত হাজরা বলেন, মহাজোট গড়ে পোস্টার ছাপিয়ে এবার প্রকাশ্যে রাম-বাম জোট লড়াই করেছিল। কিন্তু ভোটাররা সেই জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই জয় কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছেন তিনি।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরও বলেন যে তৃণমূলের শাসনকালে মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। তাই তৃণমূলের উপর আস্থা রেখেছে মানুষ। আগামী দিনে দল মানুষের পাশেই দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। তৃণমূলের জয়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সন্ত্রাস করে জয় বলে দাবি করেছে তারা। সেই সঙ্গে বাম-রাম তত্ত্বও নস্যাৎ করা হয়েছে। এটা রাজ্যের শাসক দলের অপপ্রচার বলে দাবি তাদের।
এদিকে, হলদিয়া ব্লকের এই সমবায়টি তৃণমূলের দখলে যাওয়ায় নতুন করে চাপ তৈরি হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর। কেননা, হলদিয়া শুভেন্দুর গড় বলে পরিচিত। সেখানে একের পর এক সমবায়ে শাসক দলের জয়, বিজেপিকে কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল বলে মনে করছেন কেউ কেউ।