National Youth Orchestra of Great Britain : বাসুন বাজিয়ে বিলেত শাসনে নামছে বঙ্গকন্যা – kolkata girl will play bassoon in national youth orchestra of great britain


শিলাদিত্য সাহা
বয়স মাত্র ১৫। আর এই বয়সেই খাস বিলেতে সুরের লহরে নজির গড়ার মুখে এক বঙ্গকন্যা। কেমব্রিজের বাসিন্দা স্মেরা সচিন নতুন বছরের শুরুতেই, ৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করছে ব্রিটেনের গৌরবান্বিত ন্যাশনাল ইয়ুথ অর্কেস্ট্রায়, বাসুনিস্ট হিসেবে। আগামী একটা বছর লন্ডন, লিভারপুল, বার্মিংহাম-সহ দেশ ও ইউরোপের একাধিক অঞ্চলে অর্কেস্ট্রায় বাসুন বাজাবে কলকাতার নাতনি! স্মরণাতীত কালের মধ্যে কোনও বাঙালির নাম বিদেশের এত বড় সঙ্গীতমঞ্চে শোনা যায়নি, তা-ও এত কম বয়সে।স্মেরার জন্ম কেমব্রিজেই। মা সুদেষ্ণা কলকাতার বাবুবাগানের বাসিন্দা, বাবা সচিন মুম্বইয়ের। দু’জনেই খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী। স্মেরার কাছে সুযোগ ছিল মা-বাবার ভারতীয় তকমা ছেড়ে ব্রিটিশ পাসপোর্টে নাম তোলার। কিন্তু কেমব্রিজের বাঙালিনি নিজের ভারতীয় পরিচয়টাই আঁকড়ে রাখতে চেয়েছে। প্রাচ্যের ধ্রুপদী সঙ্গীতকে পাশ্চাত্যের যন্ত্রে কী ভাবে মেশানো যায়, ভাবনায় আছে সেটাও।

Sania Mirza : এবার ফাইটার জেটে সানিয়া মির্জা, প্রথম মুসলিম মহিলা যুদ্ধবিমান চালক পেল দেশ
কী ভাবে বাসুন মন টানল স্মেরার?
মাত্র চার বছর বয়সে পিয়ানোয় হাতেখড়ি। স্মেরার যখন নয়ে পা, একদিন অর্কেস্ট্রা শুনতে গিয়ে দেখেছিল বাদ্যযন্ত্রটি। আর প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়া। আঠারো শতকের গোড়ায় মূল স্রোতে আসা লালচে রংয়ের জোড়া বাঁশের মতো দেখতে উডউইন্ড ক্যাটেগরির এই বাদ্যযন্ত্রটির সুরে এককালে মোৎসার্ট এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁর প্যাসেজে বাসুনের বহুল ব্যবহার রেখেছিলেন। পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীতের দুনিয়ায় বাসুনকে অন্যতম কঠিন বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। বলা হয়, ক্লাউন অফ অর্কেস্ট্রা। এ বার স্মেরার ঠোঁটেই প্রাণ পাবে সেই ক্লাউন! বিলেতের বঙ্গকন্যার কীর্তি শুধু এই একটাই নয়। ন্যাশনাল ইউথ অর্কেস্ট্রার অডিশন পার করার আগেই স্মেরা ন্যাশনাল ইয়ুথ কয়ারের সদস্য, সঙ্গীতের পাঠ নিচ্ছে লন্ডনের বিখ্যাত রয়্যাল কলেজ অফ মিউজিকে। তার পাশেই চলছে পড়াশোনা, সেখানেও জোড়া স্কলারশিপ। স্মেরার কথায়, ‘মিউজিকের জার্নির শুরু আছে, শেষ নেই। আমি শুরুটা করতে পেরেছি। ন্যাশনাল ইয়ুথ অর্কেস্ট্রায় বাজাব, এটা ভাবলে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে এখনও।’

“অপূর্ব এ বিশ্ব” যুদ্ধে আক্রান্ত ইউক্রেনের শহরেই বাজল পিয়ানো! ভাইরাল ভিডিয়ো দেখুন
এমন মেয়ের মনের অনেকটা জুড়ে কলকাতা। বলে, ‘বেস্ট সিটি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’! যে শহরে ছুটির সময় ছাড়া পা পড়ে না, তার প্রতি এতটা ভালোবাসা তৈরি হলো কী করে? স্মেরার সহাস্য উত্তর, ‘একমাত্র কলকাতার বিরিয়ানিতে আলু থাকে। ফালুদা-এগরোল পাওয়া যায়, সন্দেশ খেতে পারি।’ তবে শুধু ফালুদা নয়, স্মেরা বুঁদ ফেলুদাতেও। রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য তার প্রিয় গল্প। আপাতত অবশ্য মন জুড়ে শুধুই বাসুন। ‘অর্কেস্ট্রার নিজস্ব একটা টান আছে। এত অসাধারণ সব মিউজিশিয়ান, তাদের এত পরিশ্রম, সবটাই দেখছি আর শিখছি। খুব এক্সাইটেড’- বলছেন স্মেরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *