উত্তর দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট ছিল কুলিক ফরেস্ট। পিকনিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় নষ্ট হতে বসেছে।

হাইলাইটস
- একসময় উত্তর দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট ছিল কুলিক ফরেস্ট।
- গত কয়েক বছর ধরেই এই ফরেস্টের সংরক্ষিত এলাকায় পিকনিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।
- পর্যটক হারাতে বসেছে কুলিক জঙ্গল, এমনটাই দাবি অনেকেরই।
বর্তমানে কুলিক বনাঞ্চলের বাইরে আব্দুলঘাটা এলাকায় পিকনিক করার ক্ষেত্রে অনুমতি রয়েছে দফতরের পক্ষ থেকে। তবে সেসব জায়গায় পরিকাঠামোগত কোনও রকম ব্যবস্থা না থাকায় শীতের মরশুমে পিকনিক ডেসটিনেশন হিসেবে কুলিকের নাম আর আসে না সাধারণ মানুষের মনে। কয়েক বছর আগেই কুলিক ফরেস্টের মনিপাড়া এলাকায় পিকনিক স্পটের জন্য পৃথক একটি এলাকায় পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছিল বন দফতরের পক্ষ থেকে। যা দীর্ঘ অব্যবহারের ফলে নষ্ট হতে বসেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেখানে বসার জন্য চাতাল তৈরি, টিউবওয়েল বসানো, সীমানা ঘেরা দেওয়ার কাজ করা হয়েছিল সে সময়। অন্যদিকে, এখন আর পিকনিক পার্টি না আসায় স্থানীয় মানুষেরা যে সামান্য আয়ের মুখ দেখতেন তাও আজ বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দা শশী কলা মণ্ডল, দুর্গা মণ্ডল,লাভলি প্রধানরা বলেন, “দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আগে এখানে পিকনিক করতে আসত। সে কারণে সাইকেল স্ট্যান্ড, ছোটখাটো দোকান ছাড়াও পিকনিক পার্টিকে নানা রকম সাহায্য করে দু’পয়সা আয় করতে পারতেন এলাকার মানুষজনেরা। এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বন দফতরের এই চরম সিদ্ধান্তে।”
অন্যদিকে, এব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, বন কমিটি তৈরি করে এখানে পিকনিকের আয়োজন করা হত। স্থানীয় মানুষদের শীতের সময় দু’মাসের জন্য কিছু আয়েরও ব্যবস্থা হত। আমরা চাই আবার পিকনিক চালু করা হোক এখানে। যদিও এব্যাপারে বিভাগীয় বনাধিকারিক দাওয়া সাংমু শেরপা বলেন, ফরেস্টের সংরক্ষিত এলাকায় পিকনিক করা পুরোপুরি বন্ধ। এটা সরকারি নিয়ম। বনাঞ্চলকে আলাদা রেখে বাইরে কোনও এলাকাকে চিহ্নিত করে পিকনিক স্পট গড়ে তোলা যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে। কুলিকে পিকনিক করার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তা গত কয়েক বছরে মানুষ জেনে গিয়েছে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ