এরপর হাওড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলোকনন্দা ভাওয়ালের নেতৃত্বে ঘটনার পুর্ননির্মাণের জন্য প্রকাশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বয়ানের প্রতিটি তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গাড়িটির ফরেনসিক নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, গাড়ির মধ্যে মিলেছে বুলেটের খোল। গাড়ির কাচে কোনও ফুটো নেই। কাচ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কী করে বাইরে থেকে চলল গুলি। তবে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, কাচের খোলা অংশ গিয়ে হাত ঢুকিয়ে গাড়ির মধ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয়েছে রিয়াকে।
উল্লেখ্য, স্বামী প্রকাশ কুমার ও আড়াই বছরের শিশুকন্যার সঙ্গে গত সপ্তাহে বুধবার কলকাতায় আসছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা রিয়া। গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রকাশ নিজেই। বুধবার ভোর ৬টা নাগাদ শৌচকর্ম করার জন্য বাগনানের মহিষরেখা সেতুর কাছে গাড়ি দাঁড় করান প্রকাশ। সেই সময় তাঁদের গাড়িতে চড়াও হয় ৩ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। গাড়িতে সেই সময় ছিলেন রিয়া এবং তাঁদের মেয়ে। দুষ্কৃতীরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করতেই তাতে বাধা দেন রিয়া। এগিয়ে আসেন প্রকাশও। তারপরেই পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে রিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর কানের নীচে গুলি লাগার ফলে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
সেই অবস্থাতেই টাকাপয়সা এবং অন্যান্য জিনিস ছিনতাই করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ গুলিবিদ্ধ স্ত্রীকে তুলে কোনও মতে গাড়ি চালিয়ে রাজাপুর পীরতলা এলাকায় এসে স্থানীয়দের খবর দেন। এলাকার লোকজন খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে রিয়াকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।