জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টিভি অভিনেতা ও সাবেক গার্লফ্রেন্ড তুনিশা শর্মার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত শীজান খান মুম্বই আদালতে আবেদন করেন। শীজানের চুল ২ জানুয়ারি পর্যন্ত কাটা হবে না এবং কারাধ্যক্ষের বক্তব্য শোনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা আদালত শীজান খানকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। শনিবার থেকে পুলিস হেফাজতে থাকার পর তাঁকে ভাসাই আদালতে হাজির করা হয়। সেখানেই পুলিস হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয় শীজানের।
আরও পড়ুন, Pori Moni-Taslima Nasrin: ‘পরীমণির জীবনটা অনেকটা আমার জীবনের মতো’, নায়িকার পাশে তসলিমা
তুনিশার আইনজীবী তরুণ শর্মা বলেন, ”যে ভাবে শীযান চুল নিয়ে কিছু করছে, এত গুরুত্ব দিচ্ছে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে তুনিশার বিষয়ে শীজান কতটা নির্বিকার, তুনিশার বিষয়টাকে কতটা অবহেলা করছে। এমনকী এদিন সে শুধু নিজের চুলের কথাই ভেবেছে।” পুলিসি হেফাজতে থাকার সময় বাড়ির রান্না করা খাবার, ওষুধ এবং পরিবারের সদস্যের যাওয়া-আসা ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন শীজান খান। এমনকী প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করে জেলের ভেতরেও নিরাপত্তা চেয়েছে সে। যদিও শনিবার মুম্বইয়ের একটি আদালত তাঁকে নিজের বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার ও ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
তুনিশার আইনজীবী তরুণ শর্মা বলেছেন, আদালত তাঁকে বাড়িতে রান্না করা খাবার ও ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। আদালত এও বলেছে যে জেলের ম্যানুয়াল অনুযায়ী শীজান পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারে। আদালত জানায়, ‘জেল ম্যানুয়্যাল অনুযায়ী শীজানকে নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। তাহলে কি ভয় পেয়ে নিরাপত্তা চেয়েছে শীজান! তরুণ শর্মার বক্তব্য, ‘শীজান লাভ-জিহাদের দিকে বিষয়টি ঘোরাতে চাইছে। আমরা এ বিষয়টি তুলিনি। শীজানের দাবি সে নাকি শ্রদ্ধা ওয়াকার-আফতাব পুনাওয়ালার ঘটনায় ভীত।
তুনিশার আইজীবীর দাবি, কীসের ভয় সে শুধুমাত্র শীজানই বলতে পারবে। প্রসঙ্গত,পুলিসি হেফাজতে শীজান স্বীকার করেন যে, সে তুনিশার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছিল। ওয়ালিভ পুলিসের কাছে শীজান জানান, ‘মৃত্যুর কিছুদিন আগেও একবার আত্মহত্যা চেষ্টা করেছিল তুনিশা। তখন আমিই ওকে উদ্ধার করি। তবে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের পর আমি ভয় পেয়ে যাই। তখনই আমি এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নি। ধর্মের কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’ মঙ্গলবার সামনে আসে নয়া তথ্য। সোমবার সকালে বিচ্ছেদের কারণ ধর্ম বললেও পরে শীজান বলেন তাঁর সঙ্গে তুনিশার বয়সের ফারাক অনেক, সেই কারণেই তিনি সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চাইছিলেন। আবার শীজান এও জানান, দুই পরিবারের তরফেই এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাই তিনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন, Pori Moni: ‘শীঘ্রই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব’, রাজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পরীমণির