Birbhum News : সাঁইথিয়া থানার ওসি-র বদলি, ফের আলোচনার কেন্দ্রে তৃণমূল নেতার ‘হুঁশিয়ারি’ – birbhum sainthia police station oc transferred to rampurhat after trinamool leader threat


West Bengal Police: বিজেপির হয়ে পক্ষপাতিত্ব করা অভিযোগে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার ওসিকে প্রকাশ্যে সুন্দরবনে বদলির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় (Moloy Mukherjee)। যেমন কথা তেমন কাজ? ওই মন্তব্যের ঠিক দশ দিনের মাথায় বদলির নির্দেশ পেলেন সাঁইথিয়া থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত। তবে সুন্দরবনে নয় ওই জেলারই রামপুরহাট থানায় বদলি করা হয়েছে। সিউরি থানতে কর্মরত অশোক সিনহা মহাপাত্রকে সাঁইথিয়া থানায় ওসি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপারের তরফে প্রসেনজিৎ দত্তকে বদলির নির্দেশ এসেছিল। তাঁকে বদলি করা হতেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

Anubrata Mondal Moloy Mukherjee ‘আধঘণ্টার মধ্যে সুন্দরবনে বদলি করে দেব’, অনুব্রতর ঢংয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
তোলা আদায় থেকে দুর্নীতি, এমনকী অবৈধ বালি খাদান থেকে টাকা তোলার অভিযোগে ওসি প্রসেনজিৎ দত্তের বিরুদ্ধে সাঁইথিয়া থানা ঘেরাও করেছিল বিজেপি। ওই ঘটনার পরদিনই বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে নাম না করে ওসিকে তুলোধনা করে জেলার অন্যতম প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়।

Anubrata Mondal: তৃণমূল কর্মীকে গলা টিপে ধরার অভিযোগ, অনুব্রতকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে একটি সভা আয়োজন করেছিল তৃণমূল (All India Trinamool Congress)। মঞ্চে সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়ক নীলাবতী সাহা ও জেলার অন্যান্য নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “বেশকিছু প্রশাসনিক কর্তা এই মুহূর্তে চাটুকারিতা করতে ব্যস্ত। সাঁইথিয়া থানার আধিকারিকও এর মধ্যে রয়েছে। যদি ভেবে থাকেন অনুব্রত জেলের ভিতরে থাকায় কেউ কিছু করতে পারবে না তাহলে ভুল ভাবছেন, আপনাকে এখান থেকে সুন্দরবনে পাঠিয়ে দিতে আধ ঘণ্টাও লাগবে না।” তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। থানাগুলিকে তৃণমূলের পার্টি অফিস বলে আক্রমণ করেছিল বিজেপি।

Anubrata Mondal : অনুব্রতর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের, শিবঠাকুরকে দল থেকে সাসপেন্ডের পথে তৃণমূল?
তাহলে তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহেলনেই কি সাঁইথিয়া থানার ওসি বদল? রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি হওয়ার পর থেকে জেলা রাজনীতিতে সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বেড়েছে। অনুব্রতকে বিভিন্ন আদালতে পেশের সময় পেশায় আইনজীবী মলয়কে কালো কোটে কেষ্টর আশেপাশে দেখা গিয়েছে। অনু্ব্রতর হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ওসি বদলের এই ঘটনার পিছনে তাঁর কোনও হাত আছে কি না, সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *