Durgapur News : স্ত্রীকে খুন করে দেহ ট্রাঙ্কে, সেই ঘরেই ঘুমোলেন স্বামী – durgapur husband murdered his wife police started investigation


স্ত্রীকে খুন করে দেহ ট্রাঙ্কে ভরে সারা রাত সেই ঘরেই ঘুমোলেন স্বামী। যাওয়ার আগে চকোলেট খাওয়ার জন্য ছেলের হাতে দিলেন টাকা।

 

Durgapur Crime
স্ত্রীকে খুন করে দেহ ট্রাঙ্কে

হাইলাইটস

  • স্ত্রীকে খুন করে দেহ ট্রাঙ্কে ভরে সারা রাত সেই ঘরেই ঘুমোলেন স্বামী।
  • বুধবার সকালে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে চকোলেট খাওয়ার জন্য দশ বছরের ছেলের হাতে দিয়ে গেলেন টাকা।
  • খুনের 48 ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাতে বেনাচিতির পাওয়ার হাউস বস্তির ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরতে সবটা জানাজানি হয়।
এই সময়, দুর্গাপুর: স্ত্রীকে খুন করে দেহ ট্রাঙ্কে ভরে সারা রাত সেই ঘরেই ঘুমোলেন স্বামী। বুধবার সকালে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে চকোলেট খাওয়ার জন্য দশ বছরের ছেলের হাতে দিয়ে গেলেন টাকা। খুনের ৪৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাতে বেনাচিতির পাওয়ার হাউস বস্তির ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরতে সবটা জানাজানি হয়। খাটের নীচ থেকে পোশাক-আশাকে ভর্তি ট্রাঙ্ক বের করে তাতে খুঁজতেই মেলে রেখা মণ্ডলের (২৬) পচাগলা দেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক পেশায় রাজমিস্ত্রি অভিযুক্ত স্বামী সুভাষ মণ্ডল। রাতেই খবর পেয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর দেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার সকালে দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। এসিপি তথাগত পান্ডে বলেন, ‘কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। দেহ বিকৃত হয়ে গিয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। স্বামীর হাতেই ওই মহিলা খুন হয়েছেন বলে পরিবারের লোকেদের অভিযোগ। মৃতের বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।’ পুলিশের অনুমান, বেল্ট বা সে ধরনের অন্য কিছুতে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে রেখাকে। তদন্তে এসে রেখা-সুভাষের ছেলের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বাবা যে প্রায়ই মদ খেয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করত সে কথা পুলিশকে জানিয়েছে সে।

Behala News : পর্ণশ্রীতে বৃদ্ধার দেহ আগলে বসে ছেলে
পাওয়ার হাউস বস্তির বাসিন্দা রেখা গত ১১ বছর আগে নিজেই দেখেশুনে প্রতিবেশী সুভাষকে বিয়ে করেন। রেখা বেনাচিতি বাজারে একটি পোশাকের দোকানে কাজ করতেন। অভিযোগ, প্রায় প্রতি রাতে মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ফিরে তাঁর সঙ্গে ঝামেলা করতেন সুভাষ। গত রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর রাতেও সুভাষের সঙ্গে ঝামেলা হয় রেখার। সুভাষরা তিন ভাই। পাশাপাশি তিনটি ঘরে থাকতেন তাঁরা। কাজ শেষে রেখা ও সুভাষ অনেক রাতে ফিরতেন। তাই তাঁদের দশ বছরের ছেলে বেশিরভাগ দিনই দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে তাঁদের কাছেই ঘুমত। মঙ্গলবার রাতেও সেখানেই ছিল সে। ওই রাতেই স্ত্রীকে খুন করে দেহ ট্রাঙ্কে ভরেন সুভাষ। রাতটা ঘরে কাটিয়ে বুধবার সকালে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। চকোলেট কেনার জন্য টাকাও দেন। এর পর কাজে যাচ্ছি বলে বেরিয়ে যান সুভাষ। তার পর আর ফেরেননি। রেখাকেও দেখা যায়নি।

Howrah Shootout : হাওড়ায় খুন মহিলা ঝাড়খণ্ডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইশা আলিয়া, মুখ খুললেন মৃতার স্বামী
রেখার এক জা সরস্বতী মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম সকালে সুভাষের মতো রেখাও কাজে চলে গিয়েছে। কিন্তু বুধবার রাতে ওরা কেউ বাড়ি ফেরেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খোঁজ শুরু করি। তার মধ্যে একবার চিনি আনতে রেখার ঘরেও গিয়েছিলাম। তখনও কিছু বুঝতে পারিনি। রাত ৯টা নাগাদ ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। সাড়ে দশটা নাগাদ যখন বুঝতে পারি গন্ধের উৎস ওই ট্রাঙ্ক, তখন সেটি খাটের তলা থেকে বের করি। ট্রাঙ্ক খুলে দেখি সেটি কাপড়ে ভর্তি। একটা-দুটো কাপড় সরাতেই রেখার দেহ বেরিয়ে আসে।’ রেখার বাবা নিতাই তামাং বলেন, ‘অশান্তির জন্য এর আগে বহুবার রেখা আমাদের বাড়িতে এসে থেকেছে। মেয়েকে খুন করেছে জামাই। আমরা সুভাষের ফাঁসি চাই।’ ও দিকে, সুভাষের মা সুনিতা মণ্ডল বলেন, ‘বৌমার সঙ্গে প্রায়দিন অশান্তি করত সুভাষ। কিন্তু এ ভাবে মেয়েটাকে খুন করবে ভাবতে পারিনি।’

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *