Pele News:’আমার কাঁধে ভর করে কলকাতা ঘুরেছিলেন…’ পেলে’র বিদায়ে শোকস্তব্ধ শতদ্রু – shatadru dutta remembering the memory of pele when the legend came to kolkata


Pele Passes Away তাঁর পা সোনা বাঁধানো। পায়ের জাদুতে মগ্ন থাকত গোটা বিশ্ব। সেই কিংবদন্তী কলকাতায় পা রেখেছিলেন দু’বার। ১৯৭৭ এবং ২০১৫। তবে ২০১৫ সালে ফুটবল সম্রাট পেলে আধুনিক কলকাতা (Pele In Kolkata) পরিদর্শন করেছেন তাঁর কাঁধে হাত রেখেই। “ভগবান”-এর সেই পরশ পাওয়ার স্মৃতি মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয় তাঁর। বৃহস্পতিবার রাতে খবরটা পাওয়ার পর থেকে বারবার চোখটা ঝাপসা হয়ে আসছে রিষড়ার (West Bengal Local News) শতদ্রু দত্তের।

১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মত কলকাতায় পা রেখে পেলে (Pele passes away) বলেছিলেন ‘ সো মেনি পিপল’। তারপর আবার ৩৮ বছর পর ২০১৫ সালের ১০ ই অক্টোবর ফের কলকাতায় পা রাখার আগে কলকাতার নাম শুনে মনে পড়েছিল সেই ‘মেনি পিপল’ উক্তি। ফুটবল সম্রাট পেলের প্রয়াণে নানা স্মৃতি মনে পড়ছে রিষড়া বাঙ্গুর পার্কে বাসিন্দা শতদ্রু দত্তের। ফুটবল অনুরাগী শতদ্রু ইভেন্ট ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পান পেলেকে আনার। ২০১৫ সালে যখন দ্বিতীয়বারের মত কলকাতায় এসেছিলেন পেলে, সেই সময় তাঁকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছিলেন শতদ্রু। তিনি যখন প্রথমবার সাও পাওলোতে পেলের বাড়ি যান তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে তিনি শুধু কলকাতা বলাতেই তাঁর মনে পড়ে যায় কলকাতা বিমানবন্দরে হাজারো পেলে ভক্তের ভিড়ের কথা।

Pele : সম্রাটের প্রস্থান, কিংবদন্তি পেলের জীবনাবসান

২০১৫ সালে যখন এসেছিলেন তখন কোমরের সমস্যার জন্য কিছুটা হাঁটতে সমস্যা হত। তিনদিনে সফরে সারাদিন তিনি শতদ্রুর কাঁধে হাতে দিয়ে কিছুটা হাঁটা-চলা করেছিলেন। আজ সেই হাতের অভাবের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তাঁর। শতদ্রু বলেন, “তিনি ৩ দিন আমার সঙ্গে ছিলেন। আমার কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটতেন। তার কোমরের সমস্যা ছিল। একটা আলাদা অনুভূতি ছিল তার প্রতি। উনি নেই এটা ভাবতেও পারছিনা।” শুধু পেলে নয় মারাদোনা থেকে কাফু সকলেই কলকাতায় এসেছিলেন এই শতদ্রুর হাত ধরেই। ফুটবল সম্রাটের শারীরিক অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন শতদ্রু। আজ তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতেই মর্মাহত হয়ে পড়েন তিনি।

Pele Death : কলামনিস্ট পেলের জনপ্রিয়তাও ছিল তুঙ্গে, আর্টিকেল পিছু কত টাকা পেতেন?

তাঁর স্মৃতিচারণায় উঠে আসে আরও কথা। বলেন, “পেলেকে যখন কন্ট্রাক্ট সাইন করতে যাই, তখন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাকে বোঝানো “ক্যালকাটা” এবং “কলকাতা” কত বদলে গিয়েছে। ইডেন গার্ডেনসে যখন এসেছিলেন তখন প্লেন থেকে অনেক লোক দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কসমসের প্লেয়ার তখন তিনি নামতেই চাইছিলেন না। ভয় পেয়ে গিয়েছিল কারণ এত লোক সে কখনও একসঙ্গে দেখেনি। বিমানবন্দরে নেমেই আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন তার মতো একজন ব্যক্তি চিনতে পারা বা জড়িয়ে ধরা এটাই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি ছিল।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *