পৌষে বিশ্বকর্মা পুজোকে ঘিরে উৎসবের মেজাজ হুগলির বেগমপুরে। পুজো উদ্যোক্তারা তন্তুবায় সম্প্রদায়ভুক্ত।

হাইলাইটস
- পৌষ মাসে বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতলেন হুগলির চণ্ডীতলা এলাকার মানুষজন।
- মূলত তন্তুবায় সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজন এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন।
- একটা, দু’টো নয়, প্রায় 28 টি বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে চণ্ডীতলা এলাকায়।
এখানকার বিশ্বকর্মার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাহন হিসেবে হাতি থাকে না। হাতির বদলে বাহন হচ্ছে ঘোড়া। তাঁতের শব্দ এবং ঘোরার খুরের শব্দ এক রকম হওয়ায়, বাহনে এই পরিবর্তন। আগে সাবেকি পুজো হলেও, গত কয়েক বছর ধরে এখানকার পুজোতেও লেগেছে থিমের ছোঁয়া। কেন অকালে এই বিশ্বকর্মা পুজো? খোলসা করলেন দিলীপ ভড় নামে এক পুজো উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ভাদ্র মাসের বিশ্বকর্মা পুজোর সময় দুর্গাপুজো উপলক্ষে তন্তুবায়রা তাঁতের কাপড় তৈরির কাছে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় তাঁতশিল্পীরা নাওয়া-খাওয়া পর্যন্ত ভুলে যান। ফলে বিশ্বকর্মা পুজো করার মতো সময় থাকে না তাঁদের হাতে। কিন্তু পৌছ মাসের সময় তেমন কোনও কাজ থাকে না তাঁতশিল্পীদের হাতে। সেকথা মনে রেখেই পৌষ মাসে এই বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন বলে জানান তিনি।
পৌষ মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে এই পুজো হয় বলে জানান আরেক পুজো উদ্যোক্তা। চারদিন ধরে চলে পুজো অনুষ্ঠান। পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিসর্জন উপলক্ষ্যে বের করা হয় শোভাযাত্রাও। এক সময় এই বেগমপুর এলাকায় ঘরে ঘরে তাঁত বোনা হত। এখন সময় পাল্টেছে। হস্তচালিত তাঁতের জায়গা নিয়েছে পাওয়ারলুম, কলার মেশিন। নতুন প্রজন্মের ছেলেরা তাঁত ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছে। দিনদিন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, চরম দুর্দশার শিকার হচ্ছে তন্তবায় পরিবারগুলি। তবুও পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য মেনে অকাল বিশ্বকর্মা পুজোর মাধ্যমে বছরের এই কটা দিন উৎসবে মেতে ওঠেন তারা।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ