অভিষেক রবিবার বলেন, ‘নজরুল মঞ্চে যে বৈঠক রয়েছে, সেখানে আমাদের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থেকে দিক-নির্দেশিকা দেবেন।’ তাঁর সংযোজন, ‘এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বলব, আপনারা একটু নজর রাখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত ভাবে কিছু নির্দেশিকা আমাদের দেবেন। আগামী দিনগুলিতে তৃণমূলের সর্বস্তরের কর্মী-সমর্থক শুভান্যুধায়ীদের সেই নির্দেশকে বাস্তবায়িত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। সেই নির্দেশিকা যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা যায়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ঝাঁপাব।’ নজরুল মঞ্চে সভার আগে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রবিবার সামাজিক মাধ্যমে দলের উদ্দেশে সার্বিক বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন – এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালের পয়লা জানুয়ারি। এই যাত্রাপথে আমাদের অগ্রাধিকার দেশমাতৃকার সম্মান ও বাংলা মায়ের স্বার্থ। বিভিন্ন রাজ্যে যাঁরা সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের শুভকামনা জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য – আমাদের প্রধান লক্ষ্য, এই বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করা।
যদিও মমতার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার বার্তা নিয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধানকে মর্যাদা দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছিল। প্রতিদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তৃণমূল একটি বিষয় প্রতিষ্ঠা করেছে, সেটা হলো, তারা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আস্থাশীল নয়।’ শমীকের এই সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, ‘সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে দিচ্ছে বিজেপিই। মানুষের সমর্থন না পেয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। বাংলার প্রতি আর্থিক বঞ্চনা এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙার অন্যতম নিদর্শন।’ নতুন বছরে তৃণমূল যে বিচ্ছিন্নতা, বিভেদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে, সে কথাও এ দিন তপসিয়াতে বলেছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈষম্য, ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে বিনাশ করে সম্প্রীতি রক্ষা করে যাতে সমাজকে সুরক্ষিত করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের এই পরিস্থিতিতে দেশের সামনে একমাত্র বিকল্প হয়েছে বাংলা। এই বেঙ্গল মডেল দেশকে পথ দেখাচ্ছে।’ আজ মমতার নির্দেশিকা দেওয়ার বার্তা প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘নজরুল মঞ্চে ৬ লক্ষ সরকারি শূন্যপদ পূরণের ঘোষণা হবে? নতুন শিল্প প্রকল্পের ঘোষণা হবে? ১০০ দিনের কাজের কথা ঘোষিত হবে?’