স্ক্রিনশটে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে অভিনিবেশ রায় বলেছেন, দলীয় কাজকর্মে সময় দিতে না পারার জন্য ও দলের কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা না থাকার জন্য তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। তাঁর বক্তব্য, “দলীয় কাজকর্মে সময় না দিতে পারার জন্য এবং দলের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা না থাকার জন্য আমি আমার অঞ্চল কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। দলের অন্যান্য কাজে লিপ্ত থাকব, কিন্তু হেতমপুর অঞ্চলের কোন রকম সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা আমার রইল না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections) হেতমপুর পঞ্চায়েতের প্রতিটি আসনে দল জয়লাভ করবে বলে আমি আশাবাদী।”
হটাৎ করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে (Whatsapp Group) এই পোস্ট আসায় গ্রপের বাকি সদস্যরাও রীতিমতো হতবাক। অনেকেই অভিনিবেশের পোস্টের নিচে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন, কেওবা হতাশাও। তৃণমূল হেতমপুর অঞ্চল সভাপতি গোপাল চক্রবর্তীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দেখুন বিষয়টি আমার ভালো করে জানা নেই। আমিও বিস্মিত অভিনিবেশ কেন এরকম কাজ করল। এলাকায় সবাই তাঁকে ভালো পরোপকারী ছেলে হিসেবেই চেনে। দলের মধ্যেই তাঁর ভালো ইমেজ রয়েছে। দলের হয়ে প্রচুর কাজ করে অভি। বিষয়টির গভীরে গিয়ে দেখতে হবে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “দলের মধ্যে ১০০ জন থাকলে তাঁদের মধ্যে ৪-৫ জনের গ্রহনযোগ্যতা কম থাকলেও সেটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে কেউ যদি সেই বিষয়টি ইগোর পর্যায়ে নিয়ে নেয়, সেটা ঠিক নয়।”
যদিও বিষয়টিকে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হিসেবেই দেখছেন দুবরাজপুরের (Dubrajpur) BJP বিধায়ক অনুপ সাহা। সাংবাদিকদের তিনি জানান, “সারা রাজ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে। হেতমপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। শুনেছি হেতমপুর অঞ্চলের দলীয় সভাপতি হওয়া নিয়ে বিরাট গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। এই ঘটনা তারই প্রতিফলন হতে পারে।”