কয়েকমাসের মধ্যে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রবিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন তৃণমূলের তরফে ভোট নিয়ে বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছিল ভোটের জন্য তারা প্রস্তুত। এই প্রসঙ্গে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুর শোনা যায় তাঁর মুখে। দিলীপ বলেন, ‘বিজেপিও পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুত। তৃণমূল যদি সত্যি ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকে তবে বিনা পুলিশে ও বিনা গণ্ডগোলে ভোট করে দেখাক। দোকানের ঝাঁপ পড়ে যাবে।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আসন্ন বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘শেষবার অমিত শাহ এসে ওদের সঙ্গে চা খেয়ে গিয়েছেন। অমিত শাহকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও আসবেন।’
রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সঠিক সময়ে দরজা খুলে দেব’। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “দরজার ছিটকিনি আগেই ভেঙে গিয়েছে। দরজা তো খোলাই ছিল, বন্ধ হয়নি। আমাদের দলে অনেকে যোগ দিচ্ছে। মতিভ্রম না হলে পচা পার্টিতে কেউ যাবে না।” শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকে নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক। সেই নিয়ে কার্যত অধিকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি হলে লোকে এখন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়’
অভিষেকের নির্দেশে একাধিক জেলায় পদত্যাগ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে দিলীপ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের সব জেলায় গিয়ে এই প্রশ্ন করতে পারবেন না। মানুষকে ভোট দিতে না গিয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছে। কোথাও কোনও কাজ হয়নি।’
