দলীয় সূত্রে খবর, এদের প্রত্যেকেই ২০২২ সালের দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল বা কংগ্রেস প্রার্থী হিসবে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের পরাজিত করে বিরোধী কাউন্সিলর হিসেবে কৃষ্ণনগর পুরসভায় কাজ করছিলেন এরা। পাঁচ কাউন্সিলরের যোগদানের ফলে এই পুরসভায় তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি হল। কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রী এবং বিধায়কের হাত ধরে পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন এই কাউন্সিলররা।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাঁর আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, দলে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ না করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলে যোগদানকারী এক কাউন্সিলর বলেন, “এটা আমাদের পুরনো দল। এখানে ফিরে এসে ভালো লাগছে। কোনও ভুল কাজ হলে দলে থেকেও বিরোধিতা করা যায় বলে আমাদের বিশ্বাস।”
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের একদা ‘নম্বর টু’ মুকুল রায়। মুকুল রায়ের হাত ধরেই বাংলার রাজনীতিতে দলবদল শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছিল একথা প্রায় সকলেরই জানা। ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগদানের পর ২০২১-এ কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে ভোটে লড়ে জিতে ছিলেন মুকুল। কিন্তু, ভোট জয়ের কয়েকদিন পর তৃণমূল ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় মুকুলের। বেশ কয়েকদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও মুকুল ক্রমেই সক্রিয় হতে শুরু করেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এদিনের যোগদান মঞ্চে তাঁর উপস্থিতিতে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন তৃণমূলের মূলস্রোতে মুকুলের ফিরে আসা কী সময়ের অপেক্ষা?
