রবিবার বর্ষবরণ উপলক্ষে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন জামকুণ্ডার বাসিন্দা সঞ্জয় পরিয়া ও তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা। রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। সন্দেহ হয় তখনই। ঘরে ঢুকে দেখেন খোয়া গিয়েছে সর্বস্ব। বেশ কয়েকটি আলমারি ভেঙে লুটপাট চালানো হয়েছে বাড়িতে। শুধু সঞ্জয়ের পরিবারেই নয় তার ভাড়াটিয়ার বাড়িও ফাঁকা থাকার সুযোগে লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন প্রত্যেকেই। এরপর পরিবারের তরফে খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায় (Kotwali Police Station)। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। দিনে দুপুরের এরকম চুরির (Theft From a House) ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ (Kotwali Police Station)। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চুরির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিবারের গৃহবধূ মধুমিতা পরিয়া বলেন, “এসে দেখছি বাড়ির গেটে খোলা। ভেতরে ঢুকে দেখছি ঘরের দরজার তালা ভাঙা, ঘরে আলো জ্বলছিল। তারপর ভেতরে গিয়ে দেখলাম টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি চুরি হয়ে গিয়েছে। বিকেলের দিকে আমার এক ভাই এসেছিল, তখনও গেটে তলা দেওয়া ছিল। এরপরেই মনে হয় চুরি হয়েছে। পুলিশকে জানিয়েছি আমরা।”
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চন্দ্রকোনায় (Chandrakona) একটি পৃথক ঘটনায় গ্রামবাসীদের তৎপরতায় ধরা পড়ল ডাকাত। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার (Chandrakona Municipality) এক নম্বর ওয়ার্ডের গোলক ধামপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনার গোলকধামপুর গ্রামের বাসিন্দা নিমাই সাঁতরা ১লা জানুয়ারি উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন নিমাই এর বয়স্ক বাবা-মা। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে রবিবার রাতে ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করে।
দীর্ঘক্ষণের ধরে বাড়ির ছয়টি আলমারির তালা ভেঙে লন্ডভন্ড করে জিনিসপত্র। বিষয়টা বুঝতে পারে নিমাই সাঁতরার বাবা-মা। ফোনের মাধ্যমে খবর দেওয়া হয় প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীরা বাড়ি ঘেরাও করলে কয়েকজন ডাকাত দলের সদস্যরা জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেলেও একজন পালাতে পারেনি। নিমাই সাঁতরার বাড়ির ভিতরেই রয়ে যায় সে। ভিতর থেকে দরজা লক করে দেয়। খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে দরজার তালা ভেঙে উদ্ধার করে ডাকাত দলের ওই সদস্যকে। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
