কথা দিয়েছিলেন, কথা রাখলেন তিনি। গ্রামে গিয়ে সরেজমিনে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন কুণাল। গত ৩ ডিসেম্বর নিজে গ্রামে গিয়ে কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকার ক্ষোভ তাঁর সামনে উগরে দেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থল থেকেই কুণাল বিষয়টি জানান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে (Arup Biswas)। এরপর বিদ্যুৎ মন্ত্রীর নির্দেশে দফতরের শীর্ষ কর্তারা দুই দফায় সেখানে গিয়েছিলেন। বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিলেন।
একমাসের মধ্যেই করা হয় সবরকম ব্যবস্থা। অবশেষে নতুন বছরের প্রথম দিনে আলোকিত দুই গ্রাম। হাসি গ্রামবাসীদের মুখে। এদিন গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করেন কুণাল। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার কুণাল বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথম, বিদ্যুৎ সংযোগে আলো জ্বলল হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক এবং সাওতানচক গ্রামে। বন্দর বাধা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠালেও বিদ্যুৎ এল। এ আনন্দে উৎসব চলছে গ্রামে। বাজি ফাটছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আগাগোড়া সক্রিয় ছিলেন। বাম জমানা আর অধিকারীরাজের ভাঁওতাবাজির পর এবার বিদ্যুৎ ঢুকল মাত্র ২৮ দিনে।” কথা রাখার জন্যে তাঁকে ধন্যবাদ জানা গ্রামবাসীরা। উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পুরসভার (Haldia Municipality) প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মন্ডল সহ অন্যান্যরা।
জানা যায়, ওই দুটি গ্রাম হলদিয়া বন্দর এলাকার অধীনস্থ হওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ করানোর বিষয়ে কিছু সমস্যা ছিল। সমস্যা রয়েই যায় দীর্ঘদিন। একের পর এক রাজ্যে সরকার গঠিত হলেও অবহেলিত থেকে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ওই দুটি গ্রাম। সম্প্রতি বিদ্যুৎ মন্ত্রীর তৎপরতায় বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা গিয়ে গ্রাম পরিদশর্শন করেন। ব্যবস্থা হয় বিদ্যুৎ খুঁটি লাগানোর। বাড়ি বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগের কাজ হয় দ্রুত। বছরের শুরুতেই আলোর মুখ দেখে উৎসবে মেতে ওঠে গ্রামবাসীরা। রীতিমতো বাজি ফাটিয়ে উৎসব পালন দুটি গ্রামে।