TMC : বাঁকুড়ায় তুঙ্গে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সিমলাপালে ভাঙচুর তৃণমূলের পার্টি অফিস – bankura tmc inner clash vandalized block office


গোষ্ঠীদ্বন্দের আঁচ এবার এসে পড়ল বাঁকুড়া জেলার সিমলাপাল এলাকায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ভাঙচুর চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল ব্লক কার্যালয়ে।

 

Bankura News
বাঁকুড়ায় তুঙ্গে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ

হাইলাইটস

  • শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বর্তমানে রাজ্যে এমন কোনও ব্যাপার নয়।
  • দিকে দিকে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে ওপর গোষ্ঠীর লড়াই রীতিমত মুখরোচক খবরের মতন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  • এই গোষ্ঠীদ্বন্দের আঁচ এবার এসে পড়ল বাঁকুড়া জেলার সিমলাপাল এলাকায়।
Bankura : শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বর্তমানে রাজ্যে এমন কোনও ব্যাপার নয়। দিকে দিকে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে ওপর গোষ্ঠীর লড়াই রীতিমত মুখরোচক খবরের মতন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ এবার এসে পড়ল বাঁকুড়া (Bankura) জেলার সিমলাপাল এলাকায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Inner Clash) জেরে ভাঙচুর চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল ব্লক কার্যালয়ে। নেপথ্যে বর্তমান বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি (TMC Secretary) দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র ওরফে ‘পুটক্যা’। প্রসঙ্গত, এই সিমলাপালেরই বাসিন্দা দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র। তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক ও বর্তমান জেলা তৃণমূলের ‘অঘোষিত’ সর্বময় কর্তা অরুপ চক্রবর্ত্তীর ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ দলের জেলা সভাপতি নিজের এলাকায় ‘পুটক্যা’ নামে বেশি পরিচিত। দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে শাসক দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। শুধুমাত্র অরুপ চক্রব্রর্তীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই ব্লক সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্বেও তাঁকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে বলেও দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে। এই অবস্থায় এদিনের এই ঘটনা দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে অনেকে মনে করছেন।

Trinamool Congress : আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, দিনহাটায় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ভাঙচুর-আগুন
তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিদের অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ করেছেন। এই অভিযোগ তুলে এদিন স্থানীয় স্কুল মোড়ে সিমলাপাল ব্লক কার্যালয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় নেতা কর্মীরা। ভাঙচুরের ঘটনায় অন্যতম নেতৃত্বদানকারী, নিজেকে বিক্রমপুর অঞ্চল তৃণমূলের ‘কনভেনর’ দাবি করে নির্মল দাস নামক এক ব্যক্তি বলেন, “একদিকে ‘জেলা সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা’, অন্যদিকে তিনি ‘নিয়ম না মেনে’ অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ। তারই প্রতিবাদে এদিনের এই ঘটনা ঘটল”। আই প্যাকের জনৈক অমিত মিশ্রর সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ‘ধান্দাবাজ’ জনসংযোগহীন ব্যক্তিদের অঞ্চল সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

Cooch Behar News : টাকা নিয়ে পদ বিল সভাপতি-চেয়ারম্যানের! তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পোস্টার ঘিরে কোচবিহারে শোরগোল
উল্লেখ্য, গত রবিবারই বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি জেলার অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন, ঠিক তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই ঘটনা। এদিন দলীয় কর্মসূচীতে জেলা ও ব্লক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কলকাতার নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে BJP-র সিমলাপাল মণ্ডল-১ সভাপতি অলোক মহান্তী বলেন, “তৃণমূলে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল মানেই গোষ্ঠীদ্বন্দ। ওদের যে কোনটা ব্লক অফিস, কোনটা বিধায়ক কার্যালয় কিছুই বুঝতে পারবেন না। এভাবেই একদিন তৃণমূল রাজ্য থেকে সমুলে উৎপাটিত হবে”।

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *