অন্য এক যাত্রীর অভিযোগ, ‘খাবারে নন-ভেজ মেনুতে ফিশ ফিঙ্গার থাকলেও সেটা অনেকে পাননি। বিকেলের স্ন্যাক্সে রসগোল্লা, সন্দেশ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুধু একটা করে মিষ্টি দিয়ে চলে গিয়েছে।’ ট্রেনের সি-ফোর কামরার এক যাত্রী বলেন, ‘খাবারের মান খারাপ। অনেককে নিজের হাতে করে ট্রে-তে খাবার আনতে হয়েছে।।’ আর এক যাত্রীর কথায়, ‘ডাবের জল দিয়ে স্বাগত জানানোর কথা থাকলেও আমরা তা পাইনি।’ এক মহিলা যাত্রীর দাবি, ‘ট্রেনে বিনা টিকিটেও কিছু যাত্রী উঠেছিলেন! আরপিএফকে (RPF) জানিয়েও লাভ হয়নি।’ আইআরসিটিসি-র কর্তা জাফর আজম রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিন বন্দে ভারতের আপ-ডাউন দু’পথেই দুই শ্রেণি মিলিয়ে ১১২৮টি করে আসনের একটিও ফাঁকা যায়নি। তবে আগামী ক’দিনের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, অন্তত এ দিন বিকেল পর্যন্ত হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বুকিংয়ে ‘ঠাঁই নাই’- এমন পরিস্থিতি হয়নি।
আজ, সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফাঁকাই রয়েছে অনেক আসন। তুলনায় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার বা ডাউন ট্রেনে আসন ভর্তি হয়েছে বেশি। রবিবার বিকেলে আইআরসিটিসি (IRCTC)-র হিসেব অনুযায়ী, আজ, সোমবার নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারতে এসি চেয়ার কারের ১৬২টি এবং এগজি়কিউটিভ ক্লাসের ১৭টি আসনের টিকিট বিক্রি হয়নি। তবে সোমবারের হাওড়াগামী ট্রেনটির সব টিকিটই শেষ। এসি চেয়ার কারে ৫৫ এবং এগজি়কিউটিভ ক্লাসে ওয়েটিং লিস্টের ক্রম পৌঁছেছে ৩২ পর্যন্ত। শতাব্দী এক্সপ্রেস বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্দে ভারতের হাওড়াগামী ট্রেনটির সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তুলনায় নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনটির বহু আসনই এখনও ফাঁকা। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলছেন, ‘এই ট্রেনকে ঘিরে জনমানসে যে উন্মাদনা, তাতে একটি আসনও ফাঁকা যাবে না। বুকিংয়ের যা ট্রেন্ড দেখছি, তাতে সারা বছরই এই ট্রেন হাউসফুল চলবে।’