সোমবার সকালে বিষয়টি জানতে পারেন এলাকার যুবক আশিক ইকবাল। তিনি খবর দেন হাওড়া (Howrah) জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্য চিত্রক প্রামানিক ও সুমন্ত দাসকে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চিত্রক। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বিকেলে বন দফতরের কর্মীরা আকুভাগে সিরাজুল মল্লিকের বাড়ি গিয়ে বাঘরোলটিকে উদ্ধার করেন। বাঘরোলটিকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বনকর্মীদের (Forest Department)। উদ্ধারের পর বাঘরোলটিকে গড়চুমুক প্রানী চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
বন দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, এটি একটি পুরুষ বাঘরোল। পরিবেশ কর্মী চিত্রক বলেন, “খাবারের সন্ধানে বাঘরোলগুলি মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে চলে আসছে। তাতেই বারবার এমন বিপত্তি ঘটছে।” বাঘরোলটিকে পরে এই এলাকাতেই ছাড়ার জন্য বন দফতরের (Forest Department) কাছে আবেদন জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। রাজ্য প্রাণী বাঘরোল বা মেছো বিড়ালকে ইংরাজিতে ফিশিং ক্যাট বলা হয়। বিলুপ্ত প্রায় এই রাজ্য প্রাণীকে বাঁচাতে সরকারি বেসরকারি নানা ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চলছে।
সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে অবগত করতে, রাজ্য প্রাণীকে মানুষের সামনে পরিচয় করাতে সরকারি বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। হাওড়া (Howrah) জেলা জুড়ে বাঘের বসাবস নেই সে কথা কম বেশি প্রায় সকলেই জানেন। তবুও ভুল করেই বাঘ ভেবে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে প্রাণ যায় নিরীহ প্রাণী বাঘরোলের। যে কিনা মানুষ দেখলে কাছেই ঘেঁসে না। জলাভূমি জঙ্গলে বসবাস করে মাছ ইঁদুর খেয়ে জীবন যাপন করে। মাঝে মধ্যে এরা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসে, তাতেই বাঁধে বিপত্তি। বাঘের মত আকার হলেও আকৃতিতে অনেকটা ছোট বাঘরোল।