জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi) বাইশ গজের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ককে এখন গুরুদায়িত্ব দিয়েছে তাঁর দেশের ক্রিকেট বোর্ড ( Pakistan Cricket Board, PCB)। সদ্যই জাতীয় সিনিয়র দলের প্রধান নির্বাচক হয়েছেন তিনি। দায়িত্ব নিয়েই আফ্রিদি নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য দলে নিয়েছেন বাতিল ঘোড়া সরফরজ আহমেদকে (Sarfaraz Ahmed)। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচিত হয়েছেন আফ্রিদি। এবার আফ্রিদি আরও এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিলেন। বাবর আজম (Babar Azam) অ্যান্ড কোং নিঃসন্দেহে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে অন্য়তম সেরা দল। পাকিস্তান এই মুহূর্তে বিশ্বের তিন নম্বর টি-২০ দল। বিগত ব্যাক-টু-ব্যাক টি-২০ বিশ্বকাপে বাবররা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। এবার আফ্রিদি জাতীয় দলে ঠাঁই পাওয়ার মানদণ্ড ঠিক করে দিলেন। বাবরদের মাথায় রাখতে হবে এবার স্ট্রাইক-রেট।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে ইনিংস শেষ হয়েছে রামিজ রাজার। পিসিবি-র প্রধান হিসাবে ফের দায়িত্বে প্রাক্তন প্রশাসক নাজাম শেঠি। এই প্রথম পাকিস্তান তাদের ঘরের মাঠে লালবলের ক্রিকেটে চুনকাম হয়েছে। বেন স্টোকসদের কাছে টেস্টে হোয়াইওয়াশ হয়ে লজ্জার ইতিহাস লিখেছেন বাবররা। আর ঠিক তারপরেই ছাঁটাই হলেন রাজা। শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে রাজার চাকরি যাবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। নাজাম এসেছেন। সঙ্গে করে তিনি আফ্রিদিকেও এনেছেন। টি-২০ দলে সুযোগ পাওয়ার প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলছেন, ‘পাকিস্তানের টি-২০ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে স্ট্রাইক-রেট ১৩৫-এর ওপর থাকতে হবে।’ এখন দেখার পাকিস্তানের সাম্প্রতিক দলের ওপর এই নিয়ম লাগু হবে কিনা! বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানরা সমালোচিত হয়েছেন হতশ্রী স্ট্রাইক-রেটের জন্য়। সেই জন্যই আফ্রিদি আরও কঠিন হলেন কি? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।