ববিতা সরকারের চাকরি বেআইনি?
ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক স্কোর বারিয়ে দেখানো হয়েছে। তাঁকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন। এই ধরণের অভিযোগের মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সোমবারই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এই মামলায় সব পক্ষকে নোটিশ দিতে হবে। ববিতা সরকারের চাকরির নিয়োগ মামলায় শুনানি হবে আগামী বুধবার। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) বলেন, “১৭ মে SSC জানিয়েছিল ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। এখন জানা যাচ্ছে সেটি ৩১। ফলে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তিনি। SSC-র ভুলে একজন চাকরি পেয়ে গিয়েছে। এটা সমাজের কাছে আরও খারাপ বার্তা। বিষয়টি আদালতের নজরে আনার প্রয়োজন ছিল। সেটাই করা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, SSC-র কাছে ববিতার নিয়োগপত্রের বৈধতা নিয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, স্নাতকস্তরে যে শতাংশ নম্বর দেখানো হয়েছে ববিতার মার্কশিটে সেখানেই গলদ রয়েছে। অভিযোগ, প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা আদতে ভুল। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ দেখানো হয়েছে, তা হত ৩১। ফলে ব়্যাঙ্কিংয়েও অনেকটা উপরে উঠে গিয়েছেন ববিতা। পিছিয়ে পড়েছেন অনামিকা রায়। স্কোর কাউন্টিংয়ের এই গলদ ধরিয়ে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ববিতার চাকরিও বাতিল করা উচিত। বদলে তাঁকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া উচিত। প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Chandra Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী (Ankita Adhikary) চাকরি বরখাস্তের পর মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলে (Mekhliganj Indira Girls High School) চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। ববিতার মেখলিগঞ্জের ওই স্কুলে চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।