রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) পনেরোটি প্রকল্প নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই ‘দিদির দূত’ পৌঁছে যাবে মানুষের বাড়ি। যে সব প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া যাবে, তার প্রচার চলবে। গতকাল নজরুল মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নতুন বছরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামে। উদ্দেশ্য, জনসংযোগ। প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা খোঁজ নেবেন প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা, কী, কী সুবিধা পরিবারগুলি পেতে পারে। কেউ না পেয়ে থাকলে কোথায় যেতে হবে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, তাও জানানো হবে। তারই প্রারম্ভিক মহড়া শুরু হল এদিন। মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রীরামপুরে দেখা গেল দুয়ারে রেশনের প্রকল্প নিয়ে মানুষের দুয়ারে হাজির হতে। মাইক প্রচার করে মানুষকে জানানো হচ্ছে রেশনে তারা কী কী পেতে পারেন সেই বিষয়ে।
শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা বলেন, “গতকাল নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জন সংযোগ গড়ে তুলতে হবে। আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনতে হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথীর মত প্রকল্পের পরিষেবা আমারা দিচ্ছি। মানুষের চাহিদার শেষ হয় না। তাই তাঁদের কাছে গিয়ে তাঁদের কথা শুনছি।” তাঁর কথায়, “দুয়ারে রেশন” অনেক দিন আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ তাঁদের প্রাপ্য সম্বন্ধে সচেতন নন। তাই তাঁদের সচেতন করতে নিবিড় প্রচার চলবে। বিরোধীরা বিরোধিতা করবে কারণ তাঁদের কোনও কাজ নেই। মানুষের পাশে তাদের পাওয়া যায়না। আমাদের কোনও ভুল ত্রুটি থাকলে তা মানুষের সামনেই শুধরে নেব বলে জানান পুর প্রধান।
শ্রীরামপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুমন মণ্ডল ছিলেন এই প্রচারে। তিনি বলেন, “দুয়ারে রেশন আগেই চালু হয়েছে। কিন্তু অনেক মানুুষ এটা সম্বন্ধে জানে না। রেশনে যে খাদ্য দেওয়া হয়, তার পুষ্টি, গুণগত মান সম্বন্ধেও ধারনা নেই অনেকের। তাই নিবিড় প্রচারের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার পাশাপাশি মাইক লিফলেট প্রচার চলছে।”