প্রশাসনের ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela) যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। তারপরে কপিলমুনি মন্দিরে (Kapilmuni Temple) পুজো দেবেন। এছাড়া, গঙ্গাসাগরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি নতুন হেলিপ্যাড ময়দানের উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রশাসনের আধিকারিক ও বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারবেন তীর্থযাত্রীরা। এবার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela) রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে বলে অনুমান রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের। তাই এক মাস আগে থেকেই মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন।
পাশাপাশি, এবারের সাগরমেলার অগ্নি নির্বাপনের জন্য আরও বেশী সংখ্যক বাইক ব্যবহার করা হবে। এই বাইকে একইসঙ্গে জল ও ফোম বহন করা যায়। ফলে অগ্নি কাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে এই বাইক। এছাড়া মেলার জন্য অস্থায়ী ১১টি ফায়ার স্টেশন (Fire Station) তৈরি করা হয়েছে। সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই স্টেশনগুলি করা হয়েছে। আজ সাগরমেলার অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পর একথা জানান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি আজ কচুবেড়িয়া ও সাগরমেলার মাঠের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দমকলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে চলবে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ইতিমধ্যে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চট্টোপাধ্যায় দফায় দফায় সাগরে এসেছেন। পরিদর্শন করে মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন। মেলার বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন সুন্দরবন (Sundarban) উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা গত একমাস ধরে বার বার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। এর আগে ইয়াস ঝড়ে কপিলমুনি মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর মন্দির চত্বর সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করে প্রশাসন। নতুন করে সমুদ্রতট বাঁধিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দিরে নতুন রঙের প্রলেপ পড়েছে। পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ‘বাফার জোন’। কচুবেড়িয়া এবং গঙ্গাসাগর বাস স্ট্যান্ড থেকে মেলা পর্যন্ত রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়েছে।