সেটা তিনি আজ স্বীকার করেছেন। কংগ্রেস ভেঙে তিনি বিজেপির জোটসঙ্গী হয়েছিলেন।’ এ দিন মমতা বলেন, ‘তখন কংগ্রেসকে সিপিএমের বি-টিম বলতাম। এখন যেমন বাম-রাম হয়েছে। বিজেপি হয়েছে কংগ্রেসের বি-টিম এবং সিপিএমের সি-টিম। আমরা কিন্তু কখনও সরাসরি বিজেপি করিনি।’ মমতার এই মন্তব্য নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে ধরে এ রাজ্যে বিজেপিকে এনেছেন। আর কংগ্রেস কখনও বিজেপির সঙ্গে পা মেলায়নি।’ কোন দল কার বি-টিম ও সি-টিম, এই বিতর্কে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূলনেত্রী আগে নিজের টিম ঠিক রাখুন। ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজেপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আদবানি না থাকলে তৃণমূল নামের শিশু জন্মাত না। কখনও কংগ্রেসের, কখনও বিজেপির হাত ধরে তৃণমূল মোট আটবার নিজেদের অবস্থান বদল করেছে।’
সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রায় এ দিন তারাতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পদযাত্রায় সামিল হন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। বামেদের তরফেও অনেকে মিছিলে পা মেলান। তার মধ্যে অন্যতম টলিউডের দুই অভিনেতা বাদশা মৈত্র এবং শ্রীলেখা মিত্র। সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্যরাও এই পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন বলে অধীর চৌধুরী জানান। শ্যামবাজারে সভা করে এই পদযাত্রা এ দিন সমাপ্ত হয়। কংগ্রেসের সঙ্গে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকেও নিশানা করেছেন মমতা। বামফ্রন্টের আমলে ‘গুলির ফোয়ারা’ ছুটত বলে দাবি তৃণমূলনেত্রীর। মমতার কথায়, ‘সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম ২০০৮ সালের ঘটনা। ১৯৯২ সালে ফিরে যান, (তখন) কান্দুয়ার হাত কেটে দেওয়ার ঘটনা। ২১ জুলাইয়ের গুলি চালানোর ঘটনা, মেমারির ঘটনা, কোচবিহারের নার্স বর্ণালি দত্তের ঘটনা, হাওড়ায় পুলিশের গুলিতে খুন, বেহালায় রঘুনন্দন তিওয়ারি পুলিশের গুলিতে খুন হলেন, রাজারহাট, শান্তিপুরে গুলি চলল, শুধু গুলির ফোয়ারা দেখতাম আমরা।
এখন যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, তাঁদের বলব, আমরা যখন বিরোধী ছিলাম তখন ধ্বংসাত্মক কিছু করিনি। গঠনমূলক কাজ করেছি।’ যদিও মমতার এই মন্তব্য নিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা শুনে বিধানসভা ভাঙচুরের সেই ভিডিয়ো আবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলাম। যেখানে ওঁর হাতে উল্টো করে সংবিধান ধরা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, উনি উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন এবং বিধানসভা ভাঙচুর হচ্ছে। সে দিন উনি বিরোধী নেত্রী ছিলেন। তখন অর্জুন সিংহ, শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূলের নেতা ছিলেন।’