স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ২১ ডিসেম্বর কোক ওভেন থানার অন্তর্গত নডিহার আনন্দপুরে মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে তারই প্রতিবেশী রাজকুমার রুইদাস নামে এক ব্যক্তি। নাবালিকার বাবা প্রতিবাদ করলে তাঁকেও ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে নির্যাতিতার বাবার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা আশিস রুইদাস রাজকুমারের পক্ষ নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী স্থানীয় ক্লাবে বসে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্থানীয় বামপন্থী সংগঠনের তরফে কোক ওভেন থানায় অভিযুক্তের কড়া শাস্তি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এমনকী আশিসকেও গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিল তারা। বামপন্থী সংগঠনের দাবি, প্রধান অফিযুক্ত রাজকুমারকে প্রথমে গ্রেফতার করা হলেও তাঁকে আদলতে পেশ করা হয়নি।
সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার ফোনে এই সময় ডিজিটালকে বলেন, “নাবালিকা ধর্ষণের সময় তাঁর ভাই ঘটনা সচক্ষে দেখে। ভাই নাবালিকার বাবাকে ডেকে আনে। নাবালিকার বাবা ২১ নভেম্বর থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। স্থানীয় স্তরে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে। বাম মহিলা সমিতি থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। শেষমেশ ২৩ তারিখ অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। ২৪ তারিখ অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়। আমরা পুলিশকে প্রশ্ন করেছিলাম যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা হল না? ঘটনার পর ৯৬ ঘণ্টা পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করে কখনও কোনও লাভ হয়না। এখনও মেয়েটির পরিবারকে টাকা দিয়ে মামলা রফা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূক বধির নির্যাতিতা যাতে বিচার না পায়, সেইভাবে কেস সাজানো হয়ছে।” এসিপি দুর্গাপুর তথাগত পাণ্ডেকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি ব্যস্ত থাকায় এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।