তিনি বলেন, “আমি ২৩ ডিসেম্বর জানতে পারি, পর্ষদের থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আমার নাম রয়েছে। সেই তালিকায় কেন আমার নাম আছে, তা সত্যিই আমার কাছে এখনও অজানা। আমি MA, B.Ed পাশ করেছি। আগে আমি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলাম। সেটা ছেড়ে আমি নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি তৃণমূল কাউন্সিলর হিসেবে নয়, একজন সাধারণ পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ওএমআর শিটে কত পেয়েছি অথবা ইন্টারভিউয়ে কত পেয়েছি তা কখনোই জানানো হয়নি।”
কুহেলি বলেন, “ফলাফল বেরনোর পর আমাদের শুধুমাত্র কোয়ালিফায়েড দেখানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নথি যাচাই, ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া মেনেই আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে এবং এখন আমি চাকরি করছি। আমি ২০০৯ সাল থেকে কাউন্সিলর। ফর্ম ফিলাপের সময় আর পাঁচজন পরীক্ষার্থীর মতোই আমি আবেদন করেছি। আইনের প্রতি আ্রমার আস্থা রয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। আশা করি আমি সঠিক বিশ্বাস পাব।”
নিয়োগে দুর্নীতি রাজ্যের জ্বলন্ত ইস্যুগুলির মধ্যে অন্যতম। ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম থাকায় রাজ্য জুড়ে শোরগোর পড়ে যায়। বর্তমানে কুহেলি সোনারপুর চৌহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে তিনি যে পদে রয়েছেন, সেই পদে থাকার মতো তাঁর যোগ্যতা রয়েছে। কুহেলির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কী রায় দেয় সেদিকে নজর থাকবে।