দিলীপ বলেন, “আগেও বলেছি, কাশ্মীর শুধরে গিয়েছে। কিন্তু, বাংলা ধীরে ধীরে কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি এই রাজ্যে এত সক্রিয়, আর এখানকার সরকার তাদের মদত দিচ্ছে। সংসদে যখন CAA পাস হল, তখন বিরোধিতা অনেক রাজ্যে হয়েছে। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে তিনদিন ধরে উৎপাত হয়েছে। আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে যার সিংহভাগ রেলের সম্পত্তি। দেশের সম্পত্তিকে এই রাজ্যের একাংশ শত্রু সম্পত্তি মনে করতে শুরু করেছে। ভারতের আইন ও সংবিধানকে শত্রু দেশ বলে যাঁরা মনে করছে তাদের সঙ্গে তৃণমূল রয়েছে। দেশ বিরোধী শক্তির হাতে বাংলা চলে যাচ্ছে। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তৃণমূলের। কারণ এদের বিরুদ্ধে পুলিশ কখনও ব্যবস্থা নেয় না।”
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি নিয়ে কুণাল ঘোষ বিজেপির দলীয় কোন্দলের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানুষের বুদ্ধিভ্রষ্ট হলে এরকম কথা বলে। কমপক্ষে ঘটনার নিন্দা তো করুক। এদের সুর শুনে বোঝা যায়, নেপথ্যে কোনও ব্যাপার রয়েছে।” সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, “দেশ বা বিদেশ থেকে আসা জঙ্গিরা এখান থেকে ধরা পড়েছে। এই রাজ্যে নিশ্চয়ই তাদের সহযোগিতা পাচ্ছে। এখানে তাদের আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে তৃণমূল। সেই নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা যায় খড়গপুরে সাংসদের গলায়। তিনি বলেন, “দিদি এখন বক ধার্মিক হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে সত্যের বাণী শুনতে হবে, এটা তো একপ্রকার বিড়ম্বনা। সারাজীবন যিনি মিথ্যা বলায় রেকর্ড করেছেন, দেশের একতা ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, তিনি এখন সত্যের কথা বলছেন।”