রবিবার রাতে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনো ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের একাংশ কেবল ঠান্ডা খাবার নয়, ঠিক মতো খাবার পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন। কেউ জানান, নন-ভেজে ফিশ ফিঙ্গার পাননি, কেউ বিকেলের স্ন্যাক্সে রসগোল্লা ও সন্দেশের বদলে কেবল এক রকম মিষ্টি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন। সোমবার পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘খাবার নিয়ে যাতে অভিযোগ না-ওঠে, সেটা আইআরসিটিসি-কে দেখতে বলা হয়েছে। কারণ, তারাই খাবার সরবরাহের দায়িত্বে। আইআরসিটিসি আমাদের জানিয়েছেন, যাতে খাবার গরম করা হয়, সেই যন্ত্রটা ঠিক মতো কাজ করছিল না। সেই জন্যই এই সমস্যা।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনের কামরা নোংরা ছিল বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
গত শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা তথা যাত্রিপরিবহণ শুরু হয় ১ জানুয়ারি। কিন্তু প্রথম দিন ওই ট্রেনের যাত্রীদের অনেকের অভিজ্ঞতাই সুখকর নয়। অনেকে খাবার খেয়ে অসুস্থ বোধ করেন। যাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, শতাব্দী ও রাজধানী এক্সপ্রেসের তুলনায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া অনেক বেশি। বন্দে ভারতে কেবল কেটারিং চার্জ হিসেবে এগজ়িকিউটিভ ক্লাসে মাথা পিছু ৩৬৯ টাকা ও এসি চেয়ার কারে মাথা পিছু ৩০৬ টাকা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অনেকের প্রশ্ন, তা হলে খাবারের মান এত খারাপ হবে কেন? এমনকী, টয়লেট উপচে পড়েছিল, জল ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীদের কেউ কেউ। তবে প্রথম দিনে যে ট্রেনটি হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি গিয়েছিল, সেই ট্রেনের যাত্রীদের তরফে অভিযোগ খুব কমই এসেছে। বরং, নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ মিনিট আগেই এনজেপি স্টেশনে পৌঁছে যাওয়ায় অনেকে বন্দে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন।