গত ১৪৬ দিন ধরে জেলেই রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল । তবে যেভাবে গতকালের শুনানিতে বারবার দুবরাজপুরে মামলার প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল তাতেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এদিন জামিন খারিজের পর্যবেক্ষণে রআদালত জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পেশ হওয়া নথিতে দেখা যাচ্ছে তিনি একজন রাজনৈতিক হেভিওয়েট। প্রশাসনেও তাঁর প্রভাব রয়েছে। সাক্ষীদের প্রভাবিত করেছেন তিনি সে প্রমাণও দেখা হয়েছে। তদন্তের এমন পর্যায়ে এরকম প্রভাবশালীকে জামিন দিলে তা তদন্ত প্রভাব ফেলতে পারে। এই মর্মে গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
অনুব্রত জামিন মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ-
১. অনুব্রত মণ্ডল অত্যন্ত প্রভাবশালী
২. অনুব্রত মণ্ডল এখনও শক্তিশালী রাজনৈতিক পদে আছে। তার প্রভাব বীরভূমে এখনও একই আছে। এতে সাক্ষীরা প্রভাবিত হতে পারে।
৩. এনামুল ও সাতীশ কুমার এর সঙ্গে তুলনা চলে না অনুব্রতর। ওদের কারও অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রভাব নেই
৪. তদন্তের স্বার্থে অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়
মঙ্গলবারের শুনানিতে দুবরাজপুরের মামলায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকার প্রবল সমালোচনা করেন বিচারপতি বাগচি। যদিও একইসঙ্গে সিবিআই-কেও তিনি প্রশ্ন করেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই কি জামিনের বিরোধিতা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর। যদিও এদিন রায়ে আদালত অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।