বেশ কিছুদিন ধরেই আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিপূর্বে তৃণমূলের মুখপত্র পরিচয় দিয়ে অসংখ্য জায়গা থেকে সাধারণ মানুষ থেকে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। তার জন্যই তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বালি থানাতে (Bally Police Station) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাম্প্রতিকালে, একথাও প্রকাশ্যে এসেছে। এখানেই শেষ নয়। বাসন্তী পাল নামক এক মহিলা তার বিরুদ্ধে নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। একই থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার নিজের স্ত্রী স্বর্ণালীও।
আজ তিনি নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন। উক্ত ঘটনা বারাসত আদালত (Barasat Court) চত্বরে জানাজানি হলে আইনজীবীরা সোচ্চার হন এবং তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তারপরেই জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানা যায় আসল সত্য। এরপর আইনজীবীরা তাকে বারাসত থানার পুলিশের (Barasat Police Station) হাতে তুলে দেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারাসত থানার পুলিশ (Barasat Police Station)।
ইদানিংকালে দেখা যাচ্ছে এই ধরনের ভুয়ো আইনজীবীর সংখ্যা রাজ্য জুড়ে বেড়েই চলেছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই তমলুক জেলা আদালত চত্বরে এক ভুয়ো আইনজীবীকে আটক করা হয়। আদালত চত্বরে মানুষজনের কাছে যখন ওই ব্যক্তি টাকা তুলছিলেন আইনি সহায়তা পাইয়ে দেওয়ার জন্য, তখনই অন্যান্য আইনজীবীরা তাকে ধরে ফেলেন। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলার আইনজীবী মহলে এবং জেলা আদালতে মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাজকর্মে আসা সাধারণ মানুষদের মধ্যে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর বেশ কয়েকজন ভুয়ো সরকারি আধিকারিককে আটক করা হয়। তার আগে ভুয়ো ডাক্তারদের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। ছল চাতুরির আশ্রয় নেওয়া এই ধরনের ব্যক্তিদের জন্যই সাধারন মানুষকে পরিষেবা পেতে গিয়ে ঠকতে হয়।