স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত্রি ৮ টা ১৫ মিনিট নাগাদ গলসির উচ্চগ্রাম মোড় এলাকায় একটি ইটভাটা দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে বচসা হয়। সেখ মশিয়ার আলম ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে ইটভাটায় কয়লা সরবরাহকারী সেখ নাজমুল হুদা ওরফে সাহেবের বচসা হয়। ব্যবসায়িক হিসাব সংক্রান্ত বিষয়েই তাদের মধ্যে বচসা হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, বচসা চলার সময়ই কয়লা ব্যবসায়ী সেখ নাজমুল হুদা তার কাছে থাকা রিভলবার থেকে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গলসি থানার পুলিশ (Galsi Police Station)। পুলিশ রিভলবারটি বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও তিন রাউন্ড গুলি এবং একটি চার চাকা গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ইটভাটা ব্যবসায়ী সেখ মশিয়ার আলমের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেখ নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে আজ, বুধবার বর্ধমান আদালতে (Bardhaman Court) তোলা হয়। তবে যে বন্দুকটি থেকে গুলি চালানো হয়েছে, সেটি লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উভয় পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুজনের মধ্যে কী নিয়ে বচসা সে ব্যাপারে জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দু তরফের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। এরপরেই ক্রোধের বশে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের কাছে থাকা বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয়। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, এরকমই একটি ঘটনা ঘটে পূর্ব বর্ধমানে মাস সাতেক আগে। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারিতে (Memari) জল নিয়ে বিবাদের জেরে শূন্যে গুলি চালিয়ে গ্রেফতার হন এক ব্যক্তি। পঞ্চায়েতের বসানো সাবমার্সিবল পাম্পের জল কে ব্যবহার করবে? তা নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদ হয়। সেই বিবাদের মাঝেই বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়ে বসেন এক ব্যক্তি। বানেশ্বরপুরের বাসিন্দা অমরেশ কোলে নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়।