Primary School : স্কুলের দেওয়ালেই সহজপাঠ! আশ্চর্য কীর্তি বাঁকুড়ার শিক্ষকের – bankura primary school teacher painted sahaj path rhymes on wall


বাঁকুড়ার একটি প্রাথমিক স্কুলে দেওয়াল জুড়ে সহজপাঠের ছবি একেঁ অবাক করেছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল।

 

Bankura School
সহজপাঠের ছবি দিয়ে পড়াশোনার সাজঘর

হাইলাইটস

  • সহজ পাঠের যে ছবি বইয়ের পাতায় চিত্রিত, সেই ছবি ফুটে উঠেছে দেওয়ালে, দেওয়ালে।
  • অপূর্ব এক নান্দনিক মুক্তাঙ্গন গোটা বিদ্যালয় চত্বরে।
  • নিরলস পরিশ্রমে পড়ুয়াদের কাছে স্কুলের ভীতি দূর করতে, স্কুলের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পড়াশোনার সাজঘর বানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল।
Bankura : ‘ছোট খোকা বলে অ, আ’ হোক বা ‘আমাদের ছোট নদী..’ সহজ পাঠের যে ছবি বইয়ের পাতায় চিত্রিত, সেই ছবি ফুটে উঠেছে দেওয়ালে, দেওয়ালে। অপূর্ব এক নান্দনিক মুক্তাঙ্গন গোটা বিদ্যালয় চত্বরে। কথা হচ্ছে, বাঁকুড়া (Bankura) রায়পুর দক্ষিণ চক্রের, পাঠগড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়কে (Pathgara Primary School) নিয়ে। নিরলস পরিশ্রমে পড়ুয়াদের কাছে স্কুলের ভীতি দূর করতে, স্কুলের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পড়াশোনার সাজঘর বানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল। স্কুল চত্বর নাকি সহজ পাঠের মলাট দেখে বোঝার উপায় নেই, অভিনব পদ্ধতিতে শিক্ষাঙ্গনকে নিজের উদ্যোগে সাজিয়ে তুললেন ওই শিক্ষক। জেলার অন্যতম নিদর্শন হয়ে উঠেছে বাঁকুড়ার প্রান্তিক গ্রামের এক স্কুল। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সহজ পাঠের বিভিন্ন তথ্যচিত্র দিয়ে পুরো শিক্ষাঙ্গনকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাঁকুড়া রায়পুর দক্ষিণ চক্রের পাঠগড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক ঝলকের জন্য দেখলে মনে হতেই পারে ছোট্ট ছোট্ট কিশলয়দের জন্য তৈরি হয়েছে আরেক ‘শান্তিনিকেতন’।

Smart Class Room in Hooghly: নতুন বছরে পড়ুয়াদের উপহার, হুগলিতে চালু হচ্ছে স্মার্ট ক্লাস রুম
এই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে পুরো শিক্ষাঙ্গনকে সহজপাঠের বিভিন্ন আঁকি-বুকি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন স্কুল জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক বার্তা দিতে। তার এই অভিনব উদ্যোগ সাধুবাদ জানাচ্ছেন গ্রামবাসী সহ স্কুল পড়ুয়ারাও। স্কুল পড়ুয়ারা আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানাচ্ছেন, “স্কুল ছেড়ে তাদের বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে না, স্কুল কামাই করা তো দূরস্ত।” শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল আমাদের জানান, তিনি স্কুলটাকে সম্পূর্ণ নিজের ভেবেই এই কাজে ব্রতী হয়েছেন। তাঁর এই কাজে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁকে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করেছেন। সহকারি শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের দাবি, “যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি ‘মডেল বিদ্যালয়ের’ স্বীকৃতি পাচ্ছে সেই ভাবে তারও এই স্কুল মডেল বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাক।” অভিভাবকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা স্কুল এরকম একটা করে বিশ্বজিৎ মণ্ডলের মতো শিক্ষক পায় তাহলে হয়তো প্রত্যেকটা শিক্ষাঙ্গন মডেল স্কুল হয়ে উঠতে পারে।

Teacher Recruitment: পড়ুয়ারা এলেও নেই শিক্ষক! বড় সমস্যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
এক অভিভাবকের কথায়, “স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি এরকম সুন্দর সাজানো শিক্ষাঙ্গন দেখলেই বাচ্চারা নিজে থেকে স্কুলে আসতে চায়। আমাদের জোর করতে হয় না। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চারাও তাঁদের শিক্ষকের সঙ্গে স্কুল সাজিয়ে তোলার কাজে হাত লাগায়। আমাদেরও ভালো লাগে এরকম একটা স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করে। এই স্কুল আগামী দিনে মডেল স্কুল হোক, আমরা চাই।” এ যেন বাঁকুড়ার প্রান্তিক গ্রামে এক অনন্য শিক্ষাঙ্গন ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়।

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *