Primary TET Scam : প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় স্ক্যানারে ‘পর্ষদ’-এর ফোন নম্বর, CBI তদন্তের নির্দেশ – primary tet scam case justice abhijit gangopadhyay orders cbi probe to find out unknown caller address


একটি অজ্ঞাত পরিচয় নম্বর থেকে ফোন। জানানো হয়, পর্ষদের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। অবিলম্বে পর্ষদের অফিসে গিয়ে সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই দেওয়া হবে চাকরির নিয়োগপত্র। এক চাকরিপ্রার্থীর এই দাবিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবার CBI-এর স্ক্যানারে এই অজ্ঞাত পরিচয় ফোন নম্বর। কে ফোন করেছিলেন ওই চাকরিপ্রার্থীকে? কোথা থেকে এসেছিল ফোনটি? নম্বরটি কার নামে রেজিস্টার্ড? আদৌ কি এটা পর্ষদের ফোন নম্বর? বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে এবার CBI-কে তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

Primary Recruitment Case: ১৪০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
অজ্ঞাত পরিচয় ফোন নম্বরটি কার?

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। প্রাথমিকে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের মধ্যে একজন প্রার্থীর দাবি, ওইদিন তাঁর মোবাইলে একটি অজ্ঞাত পরিচয় নম্বর থেকে ফোন আসে। অপরপ্রান্তের ব্যক্তি পর্ষদের অফিস থেকে ফোন করছেন বলে দাবি করেন। তারপর ওই চাকরিপ্রার্থীকে অবিলম্বে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার উঠে এল সেই অজ্ঞাত পরিচয় নম্বর। কোথা থেকে এই ফোন এসেছিল, সত্যিই কি পর্ষদের অফিস থেকে ওই চাকরিপ্রার্থীকে ফোন করা হয়েছিল? তা খতিয়ে দেখতে এবার CBI তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Babita Sarkar : বেআইনিভাবে চাকরি ববিতার? রায় দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আরও ১৪০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ৫৯ জনের হলফনামা জমা পড়বে। জানা গিয়েছে, মামলাকারীদের সব হলফনামা দেখার পর উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে, সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই একটি মেসেজে সাদৃশ্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গত বছর ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে বেতন বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু, ওই শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সময় এই মামলা হাইকোর্টকে শোনার জন্য বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, প্রত্যেককে যোগ্য হিসেবে চাকরি পাওয়ার প্রমাণ দিতে হবে। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ৫৪ জন শিক্ষক হলফনামা পেশ করে চাকরি বাতিলের আবেদন পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছিলেন। গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সেই হলফনামা দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে একজন প্রার্থী অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *