Tapas Mandal : ‘৫০০০ করে তুলে দিয়েছি, মানিকবাবু রসিদ দেননি’: সিবিআই দফতরে তাপস – cbi interrogated tapas mandal in the primary tet scam case


এই সময়: প্রাথমিকের টেট দুর্নীতির (Primary TET) মামলায় এ বার তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) সঙ্গে নাম রয়েছে তাপসেরও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মানিকের নির্দেশেই ডিএলএড কলেজগুলি (DL ED Collge) থেকে বেআইনি ভাবে পড়ুয়াদের থেকে বিপুল টাকা তুলেছিলেন। দুর্নীতিতে মানিকের সঙ্গে তিনিও জড়িত ছিলেন। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে জেরা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাপস এ বার সরাসরি দায় ঠেললেন মানিকের দিকেই। তিনি যে টাকা তুলেছিলেন, তা অস্বীকার না করে বলেন, ‘অফলাইনে ভর্তির জন্য আমাদের পাঁচ হাজার টাকা তুলে দিতে বলেছিলেন। মানিক ভট্টাচার্যকে তা তুলে দিয়েছি। কিন্তু তার জন্য মানিকবাবু আমাদের কোনও রদিস দেননি। এখন বোর্ড অফলাইনে ভর্তির জন্য তিন হাজার করে নিচ্ছে। কিন্তু তারা রসিদও দিচ্ছে।’

Primary TET Scam : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে, ‘ঘোষবাবু’র সন্ধানে ইডি
এদিন সকালে প্রথমবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হন ডিএলএড কলেজ সংগঠনগুলির প্রধান তাপস মণ্ডল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি ২১ কোটি টাকার হিসেব জমা দিয়েছেন। তাঁর কাছে যে তথ্য ছিল, সব কিছুই তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি যা বলার সবটাই বলেছি। আগে ইডি অফিসারদের যা বলেছিলাম, সেটাই সিবিআই অফিসারদেরকেও বললাম। ২১ কোটি টাকার হিসেব তো দিয়েছি। আমাদের কাজের জন্য টাকা দিয়েছি, কাজ হয়েছে। মানিকের সঙ্গে আমার যখন কথা হয়েছিল, উনি স্টুডেন্ট পিছু পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। আমরা কলেজ থেকে তুলে দিয়েছি।’

D El Ed Admission WB : এবার ডিএলএড, ভর্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এদিন সিবিআই দপ্তরে ঢোকার সময় তাপস বলেন, ‘ওঁরা আমাকে দেখা করতে বলেছিল। আমি চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে গিয়েছিলাম। আজ নথি দিতে এসেছি।’ তাপস মানিকের দিকে বল ঠেললেও, তাঁর সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-ও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নে যে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়েও এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাপসকে। এদিকে শিক্ষক দুর্নীতি নিয়োগে গ্রেপ্তার এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের দুই প্রতিবেশীকেও সম্প্রতি জেরা করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সম্প্রতি গ্রুপ সি মামলায় সুবীরেশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অভিযোগ, তিনি প্রভাব খাটিয়ে ওই ২ প্রতিবেশীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *