বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) নিরাপত্তা নিয়ে কী জানাচ্ছে রেল?
এই সময় ডিজিটালকে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের তরফ থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হচ্ছে। তবে মানুষকেও তো বোঝানোর প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমরা বোঝাচ্ছি। যাতে আর এই ধরণের হামলা না করা হয়, তার জন্য বোঝানো হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হলে মানুষেরই তো ক্ষতি।” তাঁর আরও সংযোজন, “এত বড় একটি ট্রেনের রুটে প্রত্যেকটি জায়গায় আলাদা আলাদা করে নজরদারি রাখা একটু মুশকিল তা সত্ত্বেও আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। স্টেশনে স্টেশনে সিসিটিভির মাধ্যমেও নজর রাখা হচ্ছে। এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে আগে থেকে অ্যালার্ট করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের। তবে এই ধরণের ঘটনা প্রথম নয়। অন্য রাজ্যেও এমন ঘটেছে। আশা করব যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়।”
বন্দে ভারতে বারবার পাথর বৃষ্টি
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) যাত্রার দ্বিতীয় দিনে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। বঙ্গের প্রথম বুলেট ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে যায়। পাথরের আঘাতে ভেঙে গিয়েছে বন্দে ভারত ট্রেনের কাচের দরজা। ফলে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakhin Dinajpur) সামসির কুমারগঞ্জের (Kumarganj) কাছের ঘটনাটি ঘটে প্রথম যাত্রায়। এরপর লাগাতার তৃতীয় দিনেও বিপত্তি ঘটে। ফের হামলা চালানো হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। মালদার পর নিউ জলপাইগুড়িতে পাথর ছোড়া হয় হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি আপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের উপর ইটবৃষ্টি করা হয়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় হাইস্পিড এই ট্রেনের C6, C3 কামরা। ফেটে যায় জানলার কাচ। ট্রেনটি এদিন হাওড়ায় ফিরতেই ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। পর পর দু’দিন এই হামলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিনের ঘটনাতেও অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে নামে FIR দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখবে কাটিহার ডিভিশনে তৈরি কমিটি।