জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দ্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (Asian Cricket Council) ওরফে এসিসি (ACC) বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের দামামা বাজিয়ে দিল। আগামী সেপ্টেম্বরে হবে এশিয়া সেরা হওয়ার লড়াই। এবার ৫০ ওভারের ফরম্যাটে খেলা। গতবারের মতো এবারও দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ( India vs Pakistan) এক গ্পে। টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্যায়ে ন্যূনতম তিনবার দেখা যাবে ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’। সুপার ফোর এবং ফাইনালেও দেখা হতে পারে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও বাবার আজমদের (Babar Azam)। তবে এসিসি কিন্তু এদিন জানায়নি যে, কোন দেশে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপে। এবার এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ কিন্তু পাকিস্তান (Pakistan)। তবে বিসিসিআই (BCCI) একেবারেই রাজনৈতিক কারণে সেই দেশে গিয়ে কোনওরকম ক্রিকেট খেলতেই ইচ্ছুক নয়। বিসিসিআই নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকবে। এখন দেখার কোন দেশে এশিয়া কাপের আসর বসে!
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান রামিজ রাজা বলেছিলেন যে, ভারত যদি পাকিস্তানের এসে এশিয়া কাপ না খেলে, তাহলে তারা ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ বয়কট করবে। তবে রামিজের হুঙ্কার এখন অতীত। কারণ গত ডিসেম্বরেই রাজা গদি হারিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পিসিবি-র প্রধান হিসাবে ফের দায়িত্বে এনেছেন প্রাক্তন প্রশাসক নাজাম শেঠিকেই। মনে করা হচ্ছে যে এবার কিছু ইতিবাচক কিছুই ঘটবে। এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ছাড়াও অংশ নেবে একটি কোয়ালিফায়ার টিম। গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। তারা ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল। যেহেতু চলতি বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। সেহেতু এশিয়া কাপও হচ্ছে ৫০ ওভারের ফরম্যাটেই। ওয়ানডে ফরম্যাটেই মূল ফোকাস এখন।
বিসিসিআই সচিব ও এসিসি সভাপতি জয় শাহ এদিন আগামী দুই বছরের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের অভাবনীয় প্রচেষ্টার ইঙ্গিত এই সূচি। দেশ জুড়ে ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এটি ক্রিকেটের জন্য ভালো সময়।’ ২০২৩-২০২৪ সাইকেলের মধ্যে ১৪৫টি ওয়ানডে ও টি-২০ ম্য়াচ হবে। ২০২৩ সালে ৭৫টি ও ২০২৪ সালে ৭০টি ম্যাচ হবে। পুরুষদের অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়া কাপ ফিরছে। চলতি বছর জুলাইয়ে আট দলের মধ্যে লড়াই হবে। পরেরবার ডিসেম্বরে এই টুর্নামেন্ট হবে টি-২০ ফরম্যাটে।