বৃহস্পতিবার ববিতা সরকারের চাকরির নিয়োগ মামলায় শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বাবদ তাঁর থেকে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ববিতা যেন আলাদা করে ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন। কোনও কারণে মামলায় হার হলে ওই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
অন্যদিকে, এদিনের শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কী ভাবে অ্যাকাডেমিক বিভাগে পার্সেন্টেজ দেওয়া হয়, আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫ নাম্বার করে ছাড় কোন সময়ে দেওয়া হয়, সেই সব জানিয়ে হলফনামা জমা দেবে এসএসসি। এছাড়া ববিতার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানানো অনামিকা রায় সংক্ষিপ্ত হলফনামা দিয়ে তাঁর বক্তব্য জানাবে। ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানিতে লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে অনামিকা রায়কে।
সম্প্রতি ববিতা সরকারের স্কোরকার্ডে নম্বর গরমিলের অভিযোগ ওঠে। স্নাতকস্তরের নম্বর উপর প্রাপ্ত অ্যাকাডেমিক স্কোরে দেখা যায় ২ নম্বর অতিরিক্ত পেয়েছেন ববিতা। SSC-র কাছে ববিতার নিয়োগপত্রের বৈধতা নিয়ে একটি আবেদন জমা পড়ে। তাতে উল্লেখ করা হয়, প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা আদতে সত্য নয়। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ দেখানো হয়েছে, তা আদতে ৩১। ফলে প্যানেলের র্যাঙ্কিংয়েও বদলের ইঙ্গিত আসে। দেখা যায় ওই নম্বর ৩১ হলে ববিতার থেকে এগিয়ে আছেন অনামিকা রায়। ফলে তাঁর মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলে (Mekhliganj Indira Girls High School) স্কুলশিক্ষিকার চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন। এসএসসির কাছে ব্যাখা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনামিকা।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।